• শিশুচোর সন্দেহে মহিলাকে গণপিটুনি, ন'মাস পর বারাসতে আবার ফিরল ছেলেধরা আতঙ্ক
    আজকাল | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছেলেধরা সন্দেহে এক মহিলাকে গণপিটুনির অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতের হৃদয়পুরে। পরে ওই মহিলাকে বারাসত থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রায় ন'মাস পরে আবার জেলায় ফিরে এল ছেলেধরা আতঙ্ক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের হৃদয়পুর কল্পনা কুণ্ডু নামে এক মহিলার পাঁচ বছরের ছেলে অসুস্থ ছিল। তাকে সর্বক্ষণ দেখাশোনার জন্য ওই মহিলাকে রাখা হয়েছিল। ওই মহিলার বাড়ি হাবড়ায়। শনিবার বিকেলে ওই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে কোথাও চলে যান। সন্ধের পর ছেলেকে না পেয়ে কুণ্ডু পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। প্রতিবেশী যুবকরাও শিশুটির খোঁজে চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করেন। ইতিমধ্যে পরিবারের লোকেরা ওই মহিলার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে ফোন করেন। তাঁরা শিশুটিকে নিয়ে ফিরে আসতে বলেন। রাতে ওই মহিলা শিশুটিকে নিয়ে ফিরে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তখন তাঁকে ছেলেধরা সন্দেহে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। রাতে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

    শিশুটির মা কল্পনা বলেন, 'অনেকক্ষণ ধরে ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যে মহিলার ওপর ছেলের দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম, তাকেও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। আমাদের সন্দেহ, ওই মহিলা আমার ছেলেকে অন্য কোথাও পাচার করার ছক করেছিল। পরে সে ভয় পেয়ে ফিরে এসেছে।'

    যদিও ওই মহিলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি দাবি করেছেন, শিশুটি তাঁর সঙ্গে যাওয়ার বায়না করেছিল। শিশুটিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি অন্য বাড়িতে কাজে গিয়েছিলেন। কুণ্ডু বাড়িতে তিনি কাজ করবেন না বলায় চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে ছেলেধরা সন্দেহে পরপর গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছিল। তারপর ছেলেধরা আতঙ্ক গোটা জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। হাবড়া, বনগাঁ, অশোকনগর, দেগঙ্গা ও গাইঘাটায় বেশ কয়েকজনকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাপক প্রচার শুরু হয়েছিল। প্রায় দু'মাস পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছিল।
  • Link to this news (আজকাল)