জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাত পোহালেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। 'আমাদের ন্যায্য় অধিকার ফিরিয়ে দিন', গণ আত্মহত্যার হুমকি দিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। সাফ জানিয়ে দিলেন, 'দাবি মানা না হলে আমরা গণ আত্মহত্যা করব। সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে হয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করুন'।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাতারাতি বেকার! আজ, রবিবার শহীদ মিনারে জমায়েত করেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, 'দেশের প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দল এবং শাসক বলছে, আমাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তাহলে অন্যায় হয়েছে এটা যদি সত্য হয়, তার মানে সবাই মেনে নিচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঠিক হয়নি। এটা শুধু আমরা বলছি না, তাঁরা প্রত্যেকেই যখন বলছে অন্যায় হয়েছে। তার মানে তারা রায়ের বিরুদ্ধেই বলছে'।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরিহারা শিক্ষকরা সাফ কথা, 'মুখ্যমন্ত্রী ডেকেছেন, আমরা যাব। কারণ, আমার যে মৃত্যুটা প্রতিষ্ঠিত হল, তারজন্য রাজ্য সরকার কম দায়ি নয়। কীভাবে বাঁচাবেন আমাদের, সেটা আপনি বুঝুন। আমাদের বোঝার দরকার নেই। সেটাই বলতে আমরা যাব'।
ঘটনাটি ঠিক কী? কে যোগ্য, আর কেই-বা অযোগ্য? শেষপর্যন্ত আর বাছাই করা গেল না। SSC মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালে এসএসসি প্যানেল বাতিল। চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক, এমনকী অশিক্ষক কর্মচারীরাও।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অবশ্য বলেছেন, 'রায় বলছে, যোগ্য এবং অযোগ্য। সেটা তো এসএসসির দেওয়া তথ্য পরিসংখ্য়ানের ভিত্তিতেই বলা হচ্ছে। যোগ্য বা অযোগ্য এসএসসি ভাগ করতে পারেনি, তা নয়। হয়তো তাতে সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণত, কোর্ট সেটা বলেওছিলেন, তাঁরা সন্তুষ্ট হচ্ছেন না'। জানিয়েছেন, 'রিভিউ পিটিশন বা ইত্যাদি, এই টেকনিক্যাল প্রশ্নগুলি, এসএসসির ব্যাপার, এসএসসি আইনি ব্যাপারগুলি করবে। যদি আমাদের বিভাগের কাছে সাহায্য চায়, আমরা আইনি পরামর্শ অবশ্যই দেব। তবে সেটা আইনি পরামর্শ নিয়ে দেব'।