• এক টাকা কেজি! দাম না পেয়ে রাস্তার ধারে বস্তা বস্তা টম্যাটো ফেললেন হতাশ কৃষকরা
    বর্তমান | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: দাম না পেয়ে ক্ষোভে বাজারে ও রাজ্য সড়কের ধারে বস্তায় বস্তায় টম্যাটো ফেললেন চাষিরা। রবিবার এমনই ছবি দেখা গেল হলদিবাড়ি কৃষক বাজার ও হলদিবাড়ি-আঙুলদেখা রাজ্য সড়কের পাশে। 

    করোনার খরা কাটিয়ে গত তিনবছর ধরে টম্যাটোর সন্তোষজনক দাম পাচ্ছিলেন হলদিবাড়ি ব্লকের টম্যাটো চাষিরা। তবে গতবছর যে দাম উঠেছিল সেই তুলনায় এবার দাম আরও কম হওয়ায় আক্ষেপ চাষিদের। সাধারণত ভরা মরশুমে বাজারে টম্যাটোর জোগান বৃদ্ধি পায়। আর জোগান বাড়লে দাম কমে যায়। কিন্তু এ বছর বাজার শুরু থেকে একই দাম থাকায় টম্যাটো উৎপাদন করে লোকসানের মুখ দেখছেন চাষিরা। বর্তমানে হলদিবাড়ির বাজারে পাইকারি দরে টম্যাটো ১-২ টাকা কেজি। 

    বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী হলদিবাড়ি ব্লক কৃষিবলয় হিসেবেই পরিচিত। এখানকার উৎপাদিত টম্যাটো ও কাঁচালঙ্কার চাহিদা রাজ্য তথা দেশজুড়ে। হলদিবাড়ি ব্লকের চাষিদের কাছে অর্থকরী প্রধান ফসল টম্যাটো। একটা সময় নেপাল, ভুটানের চাহিদা মেটাত হলদিবাড়ির টম্যাটো। তবে বর্তমানে সেসব দেশের জমিতে কৃষকরা টম্যাটো চাষ শুরু করেছেন। এতেই কিছুটা হলেও চাহিদা কমেছে এখানকার টম্যাটোর। 

    টম্যাটো চাষি শৈলেন রায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এদিন বাজারে তিন কুইন্টাল টম্যাটো বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। বাজারে এসে শুনি ১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এরপর টম্যাটো বিক্রি না করে রাজ্য সড়কের ধারে ফেলে দিই। উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহণ খরচই উঠল না। 

    আরএক টম্যাটো চাষি প্রদীপ রায় বলেন, ঋণ নিয়ে এক বিঘা জমিতে টম্যাটোর চাষ করেছি। দাম কম থাকায় টম্যাটো গাছ কেটে ফেলেছি। এখন জমি ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে পাট চাষ করব। ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব বুঝে পাচ্ছি না। 

    এ বিষয়ে হলদিবাড়ির টম্যাটো ব্যবসায়ী আজগার আলি জানান, বাইরের রাজ্যে টম্যাটো চাষ হওয়ায় হলদিবাড়ির টম্যাটোর চাহিদা নেই। এদিন ১-২ টাকা কেজি দরে টম্যাটো বিক্রি হয়েছে হলদিবাড়িতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)