• মেলেনি ‘চ্যান্সেলর নমিনি’, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ঘিরে জট
    বর্তমান | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুমোদন দিলেও এখনও মেলেনি ‘চ্যান্সেলর নমিনি’র তালিকা। উচ্চশিক্ষা দপ্তর থেকে দেওয়া হয়নি কলেজ সার্ভিস কমিশন, মাদ্রাসা কমিশন, উচ্চশিক্ষা কাউন্সিল ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রতিনিধির তালিকা। যাঁদের ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠক কোনও অবস্থাতেই করা সম্ভব নয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকেই ঠিক করা হবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের দিন। আচার্য বা তাঁর চারজন প্রতিনিধি ঠিক করে দেবেন দীর্ঘ আট বছর পর ঠিক কতজন ছাত্রছাত্রীকে সার্টিফিকেট দেবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। এনিয়ে আজ, সোমবার উচ্চশিক্ষা দপ্তরে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

    গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট মিটিং না হলে সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা যায় না। উচ্চশিক্ষা দপ্তর এতগুলি চিঠির মধ্যে একটি চিঠির অনুমোদন দিয়েছে। যেখানে শুধুমাত্র সমাবর্তনের অনুমোদন রয়েছে।

    রেজিস্ট্রার আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে করা বাকি চিঠির প্রক্রিয়া চলছে। সেই অনুমোদন আমরা এখনও পাইনি। এনিয়ে সোমবার আমরা উচ্চশিক্ষা দপ্তরে যাব। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের প্রস্তাব প্রথম কোর্ট বৈঠকে তুলতে হয়। বৈঠকে প্রস্তাব পাশ হলে তবেই বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে পারে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকের চেয়ারপার্সন হলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। আচার্য সহ কোর্টে তাঁর মনোনীত চার প্রতিনিধি থাকেন। এছাড়াও কোর্টে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত বিভাগীয় প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং  উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার কোর্টের সদস্য হিসেবে থাকেন। 

    জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বৈঠকের জন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি আচার্যকে চিঠি দিতে পারে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে জানায় যে তারা সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে প্রস্তুত। তখন উচ্চশিক্ষা দপ্তর আচার্যের অনুমোদন ও তাঁর প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন কাউন্সিলের প্রতিনিধিদের তালিকা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠায়। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইতিমধ্যেই উচ্চশিক্ষা দপ্তরকে সমাবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে চিঠি দিয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র একটি চিঠির অনুমোদন পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। 

    রেজিস্ট্রার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট  শুধুমাত্র সমাবর্তনের দিন ঠিক করে দেয় না। কোর্ট বৈঠকের মাধ্যমে ডিলিট এবং ডিএসসি’র মতো সাম্মানিক ডিগ্রি কাদের প্রদান করা হবে, তারও অনুমোদন দেয়।    

    দীর্ঘ আট বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সমাবর্তন হতে চলেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহেই সমাবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু এখনও কোর্ট বৈঠক সহ বহু কাজ বাকি। কাজেই এই স্বল্প সময়ের মধ্যে আদৌ সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা সম্ভব কি না, উঠছে প্রশ্ন। যদিও রেজিস্ট্রার বলেন, আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত আছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)