সংবাদদাতা, সিউড়ি: তাপমাত্রা বাড়তেই সিউড়িতে সব্জির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৭০-৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঢ্যাঁড়শ ও পটল। ঝিঙের দাম ৬০টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের শাকের দামও বেড়েছে। কিছুদিন আগেও এসব সব্জির দাম অনেকটা কম ছিল। বাংলা নববর্ষের আগে মাছ, মাংস থেকে সব্জির বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মধ্যবিত্তরা। অভিযোগ, হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় চাষের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বেশকিছু সব্জির গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। সেকারণেই সিউড়ির বাজারে সব্জির দাম বাড়ছে বলে বিক্রেতাদের একাংশের দাবি।
সিউড়ি শহরে একাধিক সব্জির বাজার রয়েছে। টিনবাজার সংলগ্ন বাজারে প্রতিদিন শহরের আশপাশের গ্রামাঞ্চলের চাষিরা সব্জি বিক্রি করতে আসেন। চাষিদের কাছ থেকে টাটকা সব্জি কেনার জন্য সকাল থেকেই এই বাজারে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। একবেলার বাজারের উপর নির্ভরশীল চাষি ও শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। এছাড়াও কোর্টবাজার, বেনেপুকুরপাড়া, পুরসভা চত্বর, হাটজনবাজার, রবীন্দ্রপল্লি সর্বত্রই ছোটখাট আরও সব্জি বাজার রয়েছে। এইসব বাজার অবশ্য সারাদিনই খোলা থাকে। সব জায়গাতেই শাক-সব্জির দাম অনেকেটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সিউড়ি টিনবাজারের বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার স্থানীয় পটল ও ঢ্যাঁড়শ ৭০-৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চালানি পটল পাওয়া গিয়েছে ৬০টাকায়। ঝিঙে ৬০টাকা, সিম ৮০টাকা, এঁচোড় ৬০টাকা, শসা ৬০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও পটল ও ঢ্যাঁড়শ, শসা ৩০-৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেইসঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে লালশাক, পুনকো, পালং, পাটশাক, ধনেপাতার দাম। তবে টম্যাটো, আলু, পেঁয়াজ, আদার দাম বাড়েনি।
বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাজারে সব্জির দাম এত বেশি ছিল না। ঈদের সময় থেকে সবকিছুর দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। রবিবার বাজারে আসা ক্রেতা জহর চট্টোপাধ্যায় বলেন, হঠাৎ গরম একটু বেশি পড়েছে। মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে। বাজারেও সব্জির দাম বাড়তে শুরু করেছে। কিছুদিন আগেও এত দাম ছিল না।