সংবাদদাতা, আরামবাগ: রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে ভরে আরামবাগ মহকুমাজুড়ে প্রাইভেট ও পুলকার চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যে কোনও দিন বড়সড় দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে স্কুল পড়ুয়ারা। অভিযোগ, প্রকাশ্যে মেশিনের সাহায্যে রান্নার গ্যাস গাড়ির সিলিন্ডারে ভরার ব্যবসা চললেও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন। এনিয়ে ক্ষুব্ধ স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। তাঁরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন প্রশাসনিক মহলে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গাড়িতে ব্যবহারের ফলে মহকুমা জুড়ে রান্নার গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি চলছে। এই প্রসঙ্গে আরামবাগ থানার এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনও অভিযোগ জানাননি। তবুও খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ, খানাকুল, পুরশুড়া ও গোঘাটের বিভিন্ন এলাকায় স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য বহু গাড়ি চলাচল করে। অভিযোগ, এই গাড়িগুলির মধ্যে অধিকাংশই চলে রান্নার গ্যাসে। আর গাড়িগুলিতে রান্নার গ্যাস ভরার জন্য বিভিন্ন এলাকায় দোকানও রয়েছে। ওই দোকানগুলিতে মেশিনের সাহায্যে বেআইনিভাবে গাড়িতে গ্যাস ভরা হয়। রান্নার গ্যাসের মাধ্যমে চলা গাড়িতে যেকোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তার শিকার হতে পারে স্কুল পড়ুয়ারা।
জানা গিয়েছে, পেট্রলে গাড়ি চালাতে প্রতি কিলোমিটারে ৫-৬ টাকা খরচ হয়। আর গ্যাসে গাড়ি চালালে খরচ হয় ২-৩ টাকা। তাই অধিক লাভের জন্য বিপজ্জনক জেনেও গাড়ি মালিকরা গ্যাসে গাড়ি চালাচ্ছেন। আরামবাগ শহরে মূলত বেশকিছু প্রাইভেট গাড়ি ও পুলকার রান্নার গ্যাস ব্যবহার করে চলছে। প্রতিটি পুলকারে দশের অধিক বাচ্চা ঠেসে ঠুসে চাপানো হচ্ছে। রান্নার গ্যাসে গাড়ি চলায় কটু গন্ধে কষ্ট হয় বাচ্চাদের। অনেক খুদে পড়ুয়া অসুস্থও হয়ে পড়ে। আর যদি কোনও কারণে গাড়িতে আগুন ধরে যায় ফল হবে ভয়াবহ।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা অমিত অধিকারী বলেন, রান্নার গ্যাস ব্যবহার করে আরামবাগে বহু গাড়ি চলছে। তারমধ্যে বেশিরভাগ গাড়িই পুলকার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে ওই গাড়িগুলি আটক করা। না হলে যেকোনও দিন বড়সড় বিপদ হতে পারে।