• শহরে ফের মরণোত্তর অঙ্গদান, কিশোরীর অঙ্গে নতুন জীবন পেল তিনজন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • কলকাতায় ফের মরণোত্তর অঙ্গদান। ব্রেন টিউমারের ফলে মৃত্যু হওয়া এক কিশোরীর মরণোত্তর অঙ্গদানে নতুন জীবন পেলেন তিনজন। শনিবার তিনজন রোগীর শরীরে কিশোরীর হৃৎপিণ্ড এবং দুটি কিডনি প্রতিস্থাপন করেন চিকিৎসকেরা। খড়দহের বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোরীকে শুক্রবার চিকিৎসকেরা ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন। তারপরে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সদস্যরা।


    জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর দীর্ঘদিন ধরেই ভেন্টরিকুলার ব্রেন টিউমার ছিল। এর জন্য তার চিকিৎসাও চলছিল। সম্প্রতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল তার সেই টিউমার। সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ২৮ মার্চ তাকে ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু, সেখানে সমাধান না মেলায় পরে সেখান থেকে কিশোরীকে নিয়ে যাওয়া হয় সিএমআরআই হাসপাতালে। সেখানে কিশোরীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার চিকিৎসকেরা তার ব্রেন ডেথের কথা ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসকেরা কিশোরীর পরিবারকে মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাব দেন। পরিবার কিশোরীর মরণোত্তর অঙ্গদানের প্রস্তাবে সম্মতি জানায়। এরপর শুরু হয় অঙ্গদানের প্রক্রিয়া। সিএমআরআই হাসপাতাল তরুণীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দিয়ে সম্মানিত করে। হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিশোরীকে আশার আলো এবং মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, কিশোরীর হৃদপিণ্ড মেডিকা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের এক রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। একটি কিডনি কমান্ড হাসপাতালকে এবং দ্বিতীয় কিডনি মুকুন্দপুরের মণিপাল হাসপাতালের রোগীদের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দাতার ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত ছিল না। তবে লিভার যথেষ্ট ভালো ছিল। কিন্তু, উপযুক্ত গ্রহীতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।

    চিকিৎসকরা জানান, শনিবার বিকেল থেকেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গ্রিন করিডোরের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এবছর এটিই বাংলায় তৃতীয় মৃত ব্যক্তির অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)