• উত্তরবঙ্গের ‘পলাশ’-কে এ বার দেখতে পাবেন ঝাড়গ্রামের পর্যটকরাও
    এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • বুদ্ধদেব বেরা, ঝাড়গ্রাম

    কয়েকদিন পরেই বাংলা নববর্ষ। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে ঝাড়গ্রামে। তার আগেই বিশেষ চমক নিয়ে হাজির বনদপ্তর। উত্তরবঙ্গের ‘পলাশ’–কে আনা হলো প্রকাশ্যে। জঙ্গলমহল জ়ুলজিক্যাল পার্কে এতদিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল তাকে। উত্তরবঙ্গ থেকে ঝাড়গ্রামে আসার পরে এখানকার পরিবেশের সঙ্গে যাতে খাপ খাইয়ে নিতে পারে সে জন্য আলাদা করে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। রবিবার চিতাবাঘটিকে প্রকাশ্যে এনক্লোজ়ারে আনা হলো।

    ঝাড়গ্রাম বন বিভাগে ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ থেকে জ়ুলজিক্যাল পার্কে পূর্ণ বয়স্ক একটি চিতাবাঘ আনা হয়েছিল। এ ছাড়াও কিছু নতুন প্রজাতির কিছু পাখি আমার এনেছিলাম। পার্কে নতুন এনক্লোজ়ার তৈরি করা হয়েছে। সোমবার থেকে নতুন অতিথিদের পর্যটকরা দেখতে পাবেন।’ এ ছাড়াও পার্কের ভিতরে সৃষ্ঠিশ্রী স্টল এবং পর্যটকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরি করা হয়েছে। বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা তার উদ্বোধন করবেন বলেও জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জঙ্গলমহল জ়ুলজিক্যাল পার্কে উত্তরবঙ্গ থেকে হর্ষিণী ও সোহেল নামের একটি স্ত্রী ও পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রথম দুটি সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। কিন্তু দুটি শাবককেই খেয়ে ফেলে সে। তারপরে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আরও তিনটি সন্তান প্রসব করে হর্ষিণী। চিড়িয়াখানার এনক্লোজ়ারে চিতাবাঘের সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৭টি।

    ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সোহেল ও তার দুই পুরুষ শাবক– সহ ৩টি পুরুষ চিতাবাঘকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল হর্ষিণী ও তার তিন শাবককে। গলায় মাংসর হাড় আটকে গিয়ে একটি স্ত্রী চিতাবাঘের মৃত্যু হয়। সোহেল উত্তরবঙ্গে চলে যাওয়ার পর থেকেই সঙ্গী হারা হয়ে পড়েছিল হর্ষিণী। এবার নতুন সঙ্গী পলাশকে নিয়ে সংসার করতে চলেছে হর্ষিণী।

  • Link to this news (এই সময়)