• ‘আমরা পড়াতে চাই’, প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাক্তনীরা
    এই সময় | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়, কাঁথি: সুপ্রিম–নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর। শিক্ষক না থাকায় সমস্যায় পড়েছে বহু স্কুল। এমনই সমস্যায় পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির শতবর্ষ প্রাচীন স্কুল খেজুরি কলাগেছিয়া জগদীশ বিদ্যাপীঠ। ওই স্কুলের ২৮ জনের মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন ৯ জন শিক্ষক ও ২ জন শিক্ষাকর্মী। এর পর থেকেই চিন্তায় পড়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ২১৬৫ জন। স্কুলের এই অবস্থা দেখে এগিয়ে এলেন স্কুলের প্রাক্তনীরা। তাঁরা স্কুলের পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখতে প্রধান শিক্ষকের কাছে পড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

    স্কুল সূত্রে খবর, স্কুলের পিজ়িক্স, কমার্সের শিক্ষকদের চাকরি গিয়েছে। প্রাক্তনীদের প্রধান শিক্ষকদের কাছে অনুরোধ, এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে পড়ুয়ারা। প্রাক্তন ছাত্র–ছাত্রীর মধ্যে যাঁরা এই বিষয়গুলিতে পারদর্শী, তাঁদের যদি প্রধান শিক্ষক ক্লাস নেওয়ার অনুমতি দেন, তা হলে তাঁরা পড়াতে রাজি।

    কিন্তু প্রধান শিক্ষক নির্মল কুমার আদক বলেন, ‘আমি নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সব কিছুর একটা প্রসেস আছে। তা–ও আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখব।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কী করে স্কুল চলবে আমি তা–ও অবশ্য জানি না। কী হবে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত। সামনেই মাধ্যমিকের ফল। শিক্ষক না থাকলে কী ভাবে পড়ুয়াদের ভর্তি নেব।’ ওই স্কুলের এক প্রাক্তন ছাত্র বিবেকানন্দ মাইতি বলেন, ‘আমরা প্রধান শিক্ষককে পড়ানোর কথা জানিয়েছি। কোনও পারিশ্রমিক ছাড়াই আমরা পড়াব বলেছি। এরপর প্রধান শিক্ষক যা বলবেন।’

    শিক্ষক সঙ্কটে পড়ছে কাঁথির রাখালচন্দ্র বিদ্যাপীঠ স্কুলে ৫ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন আদালতের নির্দেশে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক নির্মলকুমার আদক বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে কী ভবে স্কুলের ১২০০ ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠন স্বাভাবিক রাখব বুঝতে পারছি না।’

  • Link to this news (এই সময়)