শহর থেকে জেলায় উর্দ্ধমুখী সবজির দাম, নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের, নববর্ষের আগেই বৃদ্ধি
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ এপ্রিল ২০২৫
শহর থেকে জেলায় শাক–সবজির দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। আর তাতেই চাপে পড়ে গিয়েছে মধ্যবিত্ত। আলুর দাম এখন ২০ টাকা কেজি যাচ্ছে। সেটা নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। কারণ সেটা ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই। কিন্তু বাকি শাক–সবজির দাম বৃদ্ধি হয়েছে বলেই খবর। তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। ৭০–৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ঢ্যাঁড়শ এবং পটল। ঝিঙের দাম ৬০ টাকা। এমনকী একটা ডাবের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস। এই দাম বাড়ার ফলে আবার মানুষজনের পকেটে চাপ পড়তে শুরু করেছে। নানা ধরনের শাকের দামও বেড়েছে। কদিন আগেও এসব সবজির দাম কম ছিল।
এদিকে হাতে সময় বেশি নেই। আর একসপ্তাহ পরেই বাংলা নববর্ষ। আর তার আগে মাছ, মাংস থেকে সবজির বাজারে দাম ছ্যাঁকা লাগার পক্ষে যথেষ্ট। তাই সকালে বাজার গিয়ে গৃহস্থরা বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন। দাম বেড়েছে বুঝতে পেরেই বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্তরা। কিন্তু দাম বাড়ল কেন? বিক্রেতাদের বক্তব্য, হঠাৎ করে গরম বেড়ে গিয়েছে এবং তার জেরে চাষের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে বহু সবজির গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামবাংলার বাজারে সবজির দাম বাড়ছে। আর গ্রামবাংলা থেকেই শহরে সবজি আসে। সুতরাং তা আরও বাড়ছে।
গ্রামবাংলার বাজারে প্রত্যেকদিন আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে আসেন। কৃষকদের কাছ থেকে টাটকা সবজি কিনে তা বাজারে বিক্রি করা হয়। আবার সেই সবজিই আসে শহরে। সেখানেই এই উদ্ভূত পরিস্থিতি সামনে এসেছে। সব জায়গাতেই তাই শাক–সবজির দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রবিবার গ্রামবাংলার বেশ কিছু বাজারে পটল ও ঢ্যাঁড়শ ৭০–৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ঝিঙে ৬০ টাকা, সিম ৮০ টাকা, এঁচোড় ৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে লালশাক, পালং, পাটশাক, ধনেপাতার দাম। তবে টম্যাটো, আলু, পেঁয়াজ, আদার সেভাবে দাম বাড়েনি। এই সব সবজি যখন শহরে আসছে গ্রাম থেকে তখন আরও দাম বাড়ছে। এটাই চাপের বিষয়।
এখন যে দামে সবজি কিনতে হচ্ছে তাতেই পকেটে চাপ পড়েছে। সেখানে এই ট্রেন্ড বজায় থাকলে নববর্ষের পরে তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। শহর কলকাতার বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ, কদিন আগে পর্যন্ত বাজারে সবজির দাম এত বেশি ছিল না। ইদের পর থেকেই শাক–সবজির দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। রবিবার বাজারে আসা ক্রেতা রাহুল সেনগুপ্ত বলেন, ‘হঠাৎ গরম একটু বেশি পড়েছে ঠিকই। কিন্তু তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শাক–সবজি এবং মাছ–মাংসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কদিন আগেও এত দাম ছিল না।’ যদিও কৃষকদের কথায়, বৃষ্টি এলেই আবার সবকিছু দাম কমতে থাকবে।