নেতাজি ইন্ডোরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্বাসের মাঝেই ফের ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির এজলাসে একটি আবেদন করেছে পর্ষদ। যাতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ আদালত একসঙ্গে ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। তাতে রাজ্যের পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর অভাবে পঠনপাঠন বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট নতুন নিয়োগ অথবা চলতি শিক্ষাবর্ষ শেষ না হওয়া পর্যন্ত (যেটি আগে হবে সেই অবধি) সংশ্লিষ্ট ‘যোগ্য’ শিক্ষক–শিক্ষিকাদের চাকরিতে বহাল রাখার অনুমোদন দিক।
আদালত সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে মামলা ফাইল করা হয়েছে। তবে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা মেনশন করে শুনানির জন্য উঠবে। নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারা প্রার্থীদের সামনেই সরকারের অবস্থান এ দিন স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানেই মমতা বলেন, ‘আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ করছি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমরা সমস্ত তথ্য দেব বিচার ব্যবস্থার কাছে। যাঁরা বাচ্চাদের পড়াতেন, স্কুলে যেতেন, যাঁরা এখনও স্কুলে যাচ্ছেন তাঁদের জন্য আপনাদের কী ক্লারিফিকেশন আছে?... কারও চাকরি যাতে না যায় এটা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা দপ্তর যা করার করবে।’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে যাবেন কি না, স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন কী ভাবে হবে, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট করে কোনও নির্দেশ দেয়নি স্কুল শিক্ষা দপ্তর। এ দিন চাকরিপ্রার্থীদের তরফেও জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় নিয়ে ‘রিভিউ পিটিশন’ করা হোক। এর মাঝেই ‘যোগ্য’ চাকরিহারা প্রার্থীদের কাজে বহাল রাখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন পর্ষদের।