কয়েকবছর আগে থেকেই জেলায় জেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এলাকায় স্মার্ট মিটার বসানো শুরু হয়েছে। কিন্তু সেই মিটার বসানোর পর শেষ হয়ে যাচ্ছে হু হু করে রিচার্জ। এমনটাই অভিযোগ করছেন একাধিক গ্রাহক। সোমবার বিদ্যুৎ দপ্তর ঘেরাও নদিয়ার শান্তিপুরের গ্রাহকরা।
একাধিক গ্রাহকের দাবি, নির্দেশিকা ছাড়াই বাড়িতে পাল্টানো হয়েছে ইলেকট্রিক মিটার। নতুন স্মার্ট মিটারে কী ভাবে বিদ্যুৎ বিল আসছে বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। গ্রাহকদের দাবি, একাধিকবার দপ্তরে জানিয়ে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে বিদ্যুৎ দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের।
গোটা শান্তিপুর এলাকা জুড়ে কয়েক মাস আগে থেকেই শুরু হয় বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের কাজ। গ্রাহকদের অভিযোগ, তাঁদের এ বিষয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করে বাড়িতে কয়েকজন এসে মিটার বদল করে চলে যায়। এর পরেই শুরু হয় বিভিন্ন সমস্যা।
স্মার্ট মিটারের নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল রিচার্জ-এর মতো আগে রিচার্জ করতে হবে। ন্যূনতম রিচার্জের পরিমাণ ১০০ টাকা। সেই ১০০ টাকা রিচার্জ করলে কখনও দেখা যাচ্ছে এক ঘণ্টার মধ্যে রিচার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেরই দাবি, কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যয় হলো আর কী হিসাবে টাকা কাটছে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না গ্রাহকরা। গ্রাহকদের দাবি, অবিলম্বে পুরোনো যে মিটার ছিল সেই মিটার চালু করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর বিদ্যুৎ স্টেশন ম্যানেজার মানিক তপন কুমার সাঁতরা বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দপ্তরে নিয়ম অনুযায়ী মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে যে সমস্যার কথা গ্রাহকরা বলছেন সেই সমস্যার কথা আমরা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত এবং যে নির্দেশিকা জারি করবে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।’ আগামী দিনে যাতে গ্রাহকদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় সে বিষয়ে ভাবছে বিদ্যুৎ দপ্তর।