সানাই বাজছে। ফুল, মালায় সেজে উঠেছে গোটা বাড়ি। মেয়ের বিয়ে বলে কথা। আয়োজনে কোনও খামতি নেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই বর আসবে। বরণ ডালা সাজিয়ে বাড়ির মহিলারা প্রস্তুত। কিন্ত এ কী কাণ্ড! গাড়ি থেকে বর নয়, নামলেন বিডিও।
পাত্রী উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা এক নাবালিকা। সোমবার তাঁর সঙ্গে বাগনানের এক যুবকের বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিবারের লোকজন। পাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। সেই খবর পেয়েই বিয়ের আসরে হাজির হন বিডিও।
সোমবার সকালেই ওয়েস্ট বেঙ্গল উইমেন এন্ড চাইল্ড ডেভলপমেন্টের কন্ট্রোল রুমে এই বিয়ে নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার পর আর দেরি করেননি উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক। নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি।
বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে নাবালিকার অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন বিডিও। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দিলে নাবালিকার কী কী সমস্যা হতে পারে তা বুঝিয়ে বলেন। অভিভাবকরাও বিষয়টা বোঝেন। তাঁরা বিয়ে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে শুধু নাবালিকার বিয়ে আটকানো নয়, নাবালিকা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেব না বলেও অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেন বিডিও। নাবালিকা বিবাহ রোধে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সচেতনতামূলক প্রচার চলছে। আগামীদিনে এই প্রচার আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও এইচ এম রিয়াজুল হক।