বুদ্ধদেব বেরা
হুট-হাট-হিস শব্দ করে এনক্লোজার থেকে বের করে আনার চেষ্টা হচ্ছে। তিনি কিছুতেই নড়ছেন না। ঠায় বসে খাঁচার ভিতর। খাঁচা থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছিলেন খোদ বনমন্ত্রী। বন্যপ্রাণীর তো নির্দিষ্ট নাম রয়েছে। বনমন্ত্রী আদর করে ‘পলাশ’ বলে নাম ধরে ডাকতেই খাঁচা থেকে নড়েচড়ে বেরিয়ে এল চিতাবাঘ। অপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক।
পুরুষ চিতাবাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চলতি বছরের মার্চ মাসে শুরুর দিকে উত্তরবঙ্গ থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয় এই পার্কে। ঝাড়গ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা ভালোবেসে চিতাবাঘটির নাম রাখেন ‘পলাশ’। এতদিন ধরে পলাশকে পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছিল একটি নির্দিষ্ট এনক্লোজারের। সোমবার পর্যটকদের জন্য পলাশকে ছেড়ে দেওয়া হয় অন্য একটি এনক্লোজারে।
চিতা বাঘটিকে ছাড়ার সময়ে মন্ত্রীর ডাক শুনে পলাশ যে ভাবে বেরিয়ে এলো তাতে একটু অবাক হয়ে যায় উপস্থিত সকলেই। মন্ত্রী বলেন, ‘ডাকার সঙ্গে সঙ্গে ও যে বেরিয়ে এল, দেখে আমার খুব ভালো লাগল। সত্যি ওরাও আমার দপ্তরের অন্যতম সদস্য।’
জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কটিকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বন দপ্তরের উদ্যোগে।পর্যটকদের জন্য পলাশ ছাড়াও পাখি ও সরীসৃপের ছাড়া হয় পার্কে। জঙ্গলমহল বেড়াতে আসা পর্যটকরা এই এলাকার মহিলাদের হাতের তৈরি সামগ্রী সহজে কিনতে পারেন তার জন্য পার্কের মধ্যে একটি ‘সৃষ্টিশ্রী’ স্টলের উদ্বোধন করা হয়। পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটকদের বিশ্রামের জন্য পার্কের দু’প্রান্তে দুটি সুসজ্জিত বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করা হয়।
এ দিন নিজের হাতে সাতটি কাকাতুয়া ও সবুজ ইগুয়ানা এনক্লোজার ছাড়েন মন্ত্রী। এছাড়াও দুটি ব্ল্যাক ভালচার, দুটি ইয়েলো ক্রেস্টেড ককাটু পাখিও ছাড়া হয়।