বিজেপি যুব মোর্চার ডাকে ‘কালীঘাট চলো’ অভিযানকে ঘিরে এক্সাইড মোডে সোমবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এরপরই শুরু হয় ধরপাকড়। কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই আটক করা হয়ে বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্রদের। পাশাপাশি একাধিক বিজেপি কর্মীকেও আটক করে পুলিশ। তাঁদের লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের একাংশ মারমুখী হয়ে পড়েছিলেন। বাধ্য হয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে পুলিশকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক বিজেপি নেতা কর্মীকে আটক করা হয়। বিক্ষোভকারীদের তাড়া পর্যন্ত করে পুলিশ। সেই সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের ভিতরে ঢুকে পড়েন।
এ দিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের একাংশের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, যোগ্যদের কারও চাকরি যাবে না। তাঁদের কাজে ফিরে শিক্ষা প্রদান করারও বার্তা দিয়েছেন মমতা। এই আবহে বিজেপি যুব মোর্চার কালীঘাট অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সব সমস্যা মেটানোর কথা বলছেন, অপরদিকে বিরোধীতা নতুন করে সমস্যা তৈরির চেষ্টা করছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে রাজনীতি করছেন বিরোধীরা।