• শিক্ষক-সংকটে এবার স্থগিত পরীক্ষা, বিপাকে ৩ হাজার পড়ুয়া...
    ২৪ ঘন্টা | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  শিক্ষক-সংকট। পরিস্থিতি এমনই যে, স্থগিত রাখতে হল পরীক্ষা! চরম অনিশ্চয়তার মুখে হাজার তিনেক পড়ুয়া। উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। তাঁরা চাইছেন, 'স্কুলে যেন শিগগিরই পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসে'। 

    উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর ১ ব্লকের গোয়াগাঁ হাই স্কুল। এই স্কুলের শিক্ষক ছিলেন ১৬ জন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি চলে গিয়েছে ৯ জনের। প্রধানশিক্ষক কৌশর আহমেদ জানিয়েছেন, 'মাত্র ৭ জন শিক্ষক নিয়ে এখন স্কুল চলছে। ফলে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার পঠনপাঠন ও পরীক্ষা পরিচালনা করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়েই ৭ দিনের জন্য পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন'।

    স্কুল চলবে কী করে? প্রধান শিক্ষক বলেন, 'আমরা এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি।  হয়তো রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে ওই শিক্ষকরা ফিরে আসতে পারেন, কিংবা মুখ্যমন্ত্রী যদি কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেন। আপাতত আমরা দিশেহারা'।

    পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যাওয়ার মন খারাপ পড়ুয়াদেরও। দশম শ্রেণির ছাত্রী গুড্ডি খাতুন বলেন, 'আমরা প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, এখন পরীক্ষা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক সমস্যায় পড়েছি'।  স্থানীয় অভিভাবক মহম্মদ আবু তাহের বলেন, 'আমরা শুনেছি পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাইছি, স্কুলে যেন শিগগিরই পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে আসে'।

    এদিকে শিক্ষা দফতরের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু করা গেল না মুর্শিদাবাদের স্কুলগুলিতেও। কারণ সেই একই। পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। 

    লালগোলার শৈলজা মেমোরিয়াল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়।  এই স্কুলে মোট ৪৬ জন শিক্ষিকার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ১৯ জন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে।  ২৫ জন শিক্ষিকার কাঁধেই ৪ হাজার পড়ুয়ার দায়িত্ব।  এর মাঝেই স্কুলে চলছে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণীর ইউনিট টেস্ট। লালগোলারই লস্করপুর হাইস্কুলে  চাকরি হারিয়েছেন ৮ শিক্ষক। আপাতত  ২৫ জন শিক্ষক নিয়ে চলছে স্কুল। সঙ্গে  ৫ প্যারা টিচার। পড়ুয়াদের সংখ্যা চার হাজারেরও বেশি!

    ব্যতিক্রম নয় নিউ ফরাক্কা  হাইস্কুলও। এই স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে আর্টস ও সায়েন্স, দুটি বিভাগই রয়েছে। কিন্তু পড়াবে কে? চাকরি গিয়েছে ‍১১ জন শিক্ষকের। প্রধান শিক্ষক বলছেন, 'অ্যারোবিক, এডুকেশন, দর্শনে ৩ জন শিক্ষকের মধ্যে দুজনের চাকরি বাতিল।  উচ্চ মাধ্যমিক সেকশান চালানো যাবে কিনা, তা নিয়েই আমরা চিন্তিত'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)