জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরোধীদের দাবি রাজ্যে যে ২৬ হাজার জনের চাকরি চলে গিয়েছে তার জন্য একমাত্র দায়ী তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন যোগ্য কারও চাকরি যাবে না। পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন এই এত লোকের চাকরি চলে যাওয়ার পেছনে কারও ষড়যন্ত্র নেই তো! এনিয়ে চলছে চাপান উতোর। এরকমই এক পরিস্থিতিতে আগামী বুধবার একটি প্রতিবাদ মিছিল করছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী ৯ এপ্রিল বিকেল তিনটেয় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্য়ন্ত মিছিল করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এর পাশাপাশি আগামী ১১ এপ্রিল রাজ্যের সব ব্লক, টাউন ও ওয়ার্ডে প্রতিবাদ মিছিল হবে। একই কথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।
মুখ্যমন্ত্রী সোমাবার জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন আগামী ২ মাসের মধ্যে যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হবে। আশা হারাবেন না।
সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকার বা সিবিআই প্রমান করতে পারেনি চাকরিহারা ওই ২৬ হাজার জনের মধ্যে কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য। বিরোধীদের অভিযোগে অযোগ্যদের জন্য গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর জন্য যদি কেউ দায়ী থাকে তাহলে সে হল রাজ্য সরকার। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, এই ২৬ হাজারের চাকরি যাওয়ার জন্য যদি কেউ দায়ী থাকেন তাহলে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমান চিফ জাস্টিস ও প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির আমলে মোট ১৬ বার এই মামলায় শুনানি হয়েছে। সবাইকে বলার সুযোগ দিয়েছেন। কোটি কোটি খরচ করে আইনজীবী দিয়ে মুখ্য়মন্ত্রী অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য যোগ্যদের বলি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ওই ১৬ বারের মধ্যে একবারও যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা পেশ করেননি সরকার।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন তিনি নিজেও আইনজীবী। কয়েকটি কেস লড়েছেন। এনিয়ে শুভেন্দু বলেন, আপনি নিজে বলেছেন আপনি আইনজীবী। আমি অনুরোধ করব সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের পক্ষে আপনি আবেদন করুন। আপনি ক্যালকাটা বারের মেম্বার। আপনি আজ বলেছেন আমি অনেক কেস লড়েছি। তাই আমার অনুরোধ আইনজীবী হিসেবে যোগ্যদের তালিকাটা হাতে নিয়ে গিয়ে বলুন আমি আইনজীবী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছি। এই হল যোগ্যদের তালিকা। এদের কথা বিবেচনা করুন। তা যদি না করতে পারেন তা হলে ২৩ লক্ষ ভাইবোনকে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে।