উখরা ও পাণ্ডবেশ্বরে ওভারব্রিজ গড়বে রেল ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন বিধায়ক
বর্তমান | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: ভোগান্তির আর এক নাম পাণ্ডবেশ্বর রেলগেট। এখানে আটকে পড়ায় অ্যাম্বুলেন্সেই প্রসূতি থেকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বাসিন্দাদের আন্দোলনের পরও রেলগেটের ভোগান্তি থেকে নিস্তার মেলেনি। একবার গেট পড়লে কখন উঠবে তা বোঝা দায়। একই দশা অণ্ডাল ব্লকের উখরাতেও। সেখানেও গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর রেলগেটে হয়রানির শিকার হন বাসিন্দারা। দুই রেলগেট তুলে দিয়ে ওভারব্রিজ গড়ার দাবি দীর্ঘদিনের। অবশেষে মানুষের দাবি পূরণ করতে চলেছে রেল। ডিআরএমের সঙ্গে বৈঠক করে এমনই দাবি করেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
বিধায়ক বলেন, আসানসোলের ডিআরএমের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। উখরার আরওবির জন্য সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও দরবার করেছেন। এদিন আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছি সেখানে আরওবি গড়ার নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়েছে রেল। ডিআরএম আমাকে জানিয়েছেন, পাণ্ডবেশ্বর আরওবি নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। আমাকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে লিখিত আবেদন করতে বলা হয়েছে। আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ বিভাগের দাবি, প্রতিটি রেলগেট তুলে দিয়ে আরওবি বা সাবওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। গুরুত্ব অনুযায়ী কিছু আরওবি আগে করা হবে।
অণ্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর, উখরার খনি অঞ্চল ভারতীয় রেলের কাছে কার্যত সোনার ডিম পাড়া হাঁস। ঝাঁজরা, সোনপুর বাজারির মতো ইসিএলের বৃহৎ প্রজেক্টগুলি এখানে রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন বহু কয়লাবোঝাই রেক দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। কয়লা পরিবহণ করে কোটি কোটি টাকা আয় করে রেল। অভিযোগ, সেই অঞ্চলের প্রতিই রেলের বঞ্চনা চরমে। অতিরিক্ত লাইন না থাকায় মালগাড়ি যাতায়াতের অন্য অনেক সময় যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হয়। খনি অঞ্চলের বাসিন্দারা এই দু’টি রেলগেট নিয়ে নাজেহাল হলেও রেল সেখানে এখনও ওভারব্রিজ তৈরি করেনি। বহু মানুষের মৃত্যুর পরও টনক নড়েনি, যা নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। এমনকী, পাণ্ডবেশ্বর মডেল স্টেশনের তালিকায় থাকলেও উখরা নেই। তা নিয়েও উখরার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
সোমবার আসানসোল ডিআরএম অফিসে গিয়ে রেল আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। সেখানেই আরওবি নিয়ে ফের সোচ্চার হন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি উখরা স্টেশনের উন্নয়নের দাবি জানান। পাশাপাশি পাণ্ডবেশ্বরে কামাক্ষা এক্সপ্রেস, নাগাও এক্সপ্রেস, দীঘা-মালদহ এক্সপ্রেস ও বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন বিধায়ক।