• বটগাছের কোটরে মা শীতলা লোকমুখে ফেরে গা ছমছমে রহস্যগল্প
    বর্তমান | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: বিশাল বটগাছ তার শাখাপ্রশাখা নিয়ে বিস্তৃত। আর সেই গাছের নীচে কোটরে আছেন মা শীতলা। এলাকায় পরিচিত ‘বুড়ি মা’ বলে। সকালে নিয়ম করে মাকে পুজো দেন গ্রামের মহিলারা। কিন্তু দুপুরে ওই কোটরে ঢুকলে হতে পারে বড় অঘটন, এমনই জনশ্রুতি এলাকায়। মা খুবই জাগ্রত। তাই বটগাছের কোটরে মা শীতলাকে দেখতে ভিড় করে দূরদূরান্তের মানুষ। বটগাছটি রয়েছে বারুইপুরের রামনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের শাঁখারিপুকুর এলাকায়। বারুইপুর থেকে ধপধপি যাওয়ার রাস্তায় দেখা যাবে মা শীতলাকে। 

    গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এই জায়গায় এককালে মন্দির ছিল। তার উপরে ছিল ছোট বটগাছ। এই মন্দিরের পুজারির পরিবারের একজন সেই ছোট বটগাছটি একবার কাটতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেই অসুখ থেকে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে এই বটগাছ কাটার সাহস কেউ দেখাননি। সেই গাছই এখন মন্দিরকে পুরো ঢেকে দিয়ে বিশালাকার হয়েছে। গ্রামের বাসিন্দা নমিতা নস্কর নিয়ম করে রোজ সকালে এই কোটরে ঢুকে মায়ের পুজো দেন। তিনি বলেন, দুপুরে একবার কোটরে পুজো দিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আচমকা কোটরের ভিতরে, উপর থেকে সাপ বেরিয়ে আসে। আমাকে তাড়া করে ফেলে দেয়। কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যাই। এরপর থেকেই দুপুরের পর কেউ আর কোটরে যান না। কেউ যদি ভুল করে ঢুকেও পড়েন, তাহলে নাকি তাঁর শরীর অবশ হয়ে যায়। বর্ষাকালে জল জমে যায় এই বটগাছের চারদিকে। কিন্তু মায়ের কাপড় ভেজে না। এমনকী, কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা ঝড়ে এই বটগাছের ডালও ভেঙে পড়ে না।

    এলাকার এক বাসিন্দা অনিন্দ্য নস্কর বলেন, এক সময় বুড়িমার কাছে তক্ষক বসে থাকত। এই গাছে মৌচাকও রয়েছে। সন্ধ্যাবেলা গা ছমছমে পরিবেশে কেউ ওই কোটরে হাত পর্যন্ত দিতে পারেন না। তবে মায়ের ইচ্ছায় আমাদের গ্রামের বাসিন্দাদের অনেক উপকার হয়েছে। মাকে নিষ্ঠা করে পুজো দিলেই ফল মেলে। পয়লা বৈশাখ ও বাৎসরিক পুজোয় মায়ের দর্শন নিতে অনেকে ভিড় করেন।
  • Link to this news (বর্তমান)