• চট্টা সুবিদ আলি হাইস্কুলে হস্টেল তৈরি হয়েছে ১ বছর আগে, যাচ্ছে না ছাত্ররা
    বর্তমান | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: রাজ্য সংখ্যালঘু দপ্তর থেকে কোটি টাকা খরচ করে ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের চট্টা সুবিদ আলি হাই স্কুলে আবাসিক হস্টেল গড়া হয়েছে। এক বছর আগে কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর সেই হস্টেল স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে হস্তান্তরও করা হয়েছে। কিন্তু এক বছর পরেও হস্টেলটিতে পড়ুয়াদের থাকার ব্যাপারে কোনও উৎসাহ দেখা যায়নি। ফলে ৪৭ বেডের ঝকঝকে এই হস্টেল অব্যবহৃত অবস্থা পড়ে।

    বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এনিয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিয়েছে। তাতে বেশ কয়েকজন অভিভাবক আগ্রহ দেখিয়ে ফর্মও নিয়েছেন। তবে সব মিলিয়ে এত টাকা খরচ করে হস্টেল তৈরি হলেও তা কার্যত বন্ধ হয়ে রয়েছে।

    চট্টা সুবিদ আলি হাইস্কুলের টিচার ইনচার্জ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, এই অঞ্চলে অনেক স্কুল থাকলেও সকলের হস্টেল তৈরির মতো জায়গা নেই। সেটা চট্টা সুবিদ আলি হাই স্কুলের রয়েছে। তাই এখানে হস্টেল তৈরির জন্য সরকার থেকে আমাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছি এনিয়ে, যাতে তাঁরা তাঁদের ছেলেদের হস্টেলে রাখেন। কিন্ত এই স্কুলে পড়ুয়াদের অধিকাংশই এলাকাবাসী। তাই কেউ থাকতে চাইছে না। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি সকলকে। বলেছি, এখানে পড়ুয়াদের রাখলে নিঃখরচায় সরকারি অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে । পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের এই সুযোগ দেওয়া হবে। আসলে হোস্টেলে পড়ুয়ারা থাকলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ অনেকটা বদলে যাবে। এখন স্কুলের চারপাশে অনেকটা খোলা। পাঁচিল নেই। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহিরাগতরা রাতে এখানে ঢুকে অসামাজিক কাজ করে। চেষ্টা করছি বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার জন্য সরকারি সাহায্য আদায়ের। তার আগে তাই হস্টেল চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিছু অভিভাবক ফর্ম নিয়েছিলেন। কিন্ত স্কুল বন্ধের সময় মেলা করা নিয়ে এতটাই বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করা হল যে, অভিভাবকদের অনেকে তা মেনে নিতে পারেননি। বিশেষ করে যাঁরা নিজের ছেলেদের হস্টেল রাখবেন বলে ফর্ম নিয়েছিলেন, তাঁরা ফর্ম পূরণ না করেই ফিরিয়ে দিয়েছেন। তবুও আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।
  • Link to this news (বর্তমান)