• চিংড়িঘাটায় সরকারি বাসের ধাক্কায় স্কুটার আরোহীর মৃত্যু
    বর্তমান | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: শহরের ব্যস্ততম চিংড়িঘাটা মোড়ে ফের দুর্ঘটনা। এবার সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক স্কুটার আরোহীর। সোমবার কাজে যাওয়ার পথে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। স্কুটার চালক রাস্তায় আছাড় খেয়ে পড়লেও কপাল জোরে তিনি প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। এই ঘটনায় ঘাতক সরকারি বাসটিকে আটক করেছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে স্কুটারটিও। ঘাতক বাসটি বিধাননগর দক্ষিণ থানাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, চিংড়িঘাটা মোড় ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। অত্যধিক গাড়ির চাপ। সল্টলেক থেকে কলকাতাগামী রাস্তা চওড়া হলে হয়তো কিছুটা সমাধান হবে।

    অন্যদিকে, রবিবার রাতে এয়ারপোর্ট আড়াই নম্বর গেটের কাছে গাড়ির ধাক্কায় আঙুল হারিয়েছেন এক বৃদ্ধ। পুলিস জানিয়েছে, তাঁর নাম তারক সেন (৭৯)। তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। জখম অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর ডানহাতের মধ্যমা কেটে বাদ দিতে হয়েছে।

    পুলিস জানিয়েছে, চিংড়িঘাটার দুর্ঘটনায় মৃতের নাম হরমোহন রাজবংশী (৬২)। তিনি স্কুটারের পিছনে বসেছিলেন। স্কুটার চালাচ্ছিলেন অরুণ রায়। অরুণবাবু কাঠের মিস্ত্রি। হরমোহনবাবু পালিসের কাজ করেন। নিউটাউনের জ্যোতিনগর এলাকা থেকে তাঁরা কসবার একটি বাড়িতে কাজে যাচ্ছিলেন। সল্টলেক বাইপাস রোড ধরে তাঁরা চিংড়িঘাটা মোড়ের দিকে আসছিলেন। কিন্তু, ইএম বাইপাসে না উঠে তাঁরা বাঁদিকে শান্তিনগরের দিকে ঢুকে পড়েন। চিংড়িঘাটা মোড়ে সল্টলেকের দিকে একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। তার পাশে ইএম বাইপাসে ওঠার একটি রাস্তা আছে। তাঁরা স্কুটারে করে সেই রাস্তা দিয়ে আচমকা ইএম বাইপাসের রাস্তায় উঠে পড়েন। সেই সময় দ্রুতগতিতে থাকা ধামাখালি রুটের একটি সরকারি ধাক্কা মারে স্কুটারকে। তাতে হরমোহনবাবু রাস্তার ডানদিকে ছিটকে পড়েন। বাঁদিকে পড়েন অরুণবাবু। দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল। হরমোহনবাবুর উপর দিয়ে বাসের পিছনের চাকা চলে যায়। ট্রাফিক পুলিস দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু, চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকেই বাসটিকে আটক করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, চালক পলাতক।

    প্রসঙ্গত, এর আগে চিংড়িঘাটায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি বেপরোয়া চারচাকার গাড়ির ধাক্কায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন সাতজন। গাড়িটি পরপর ধাক্কা মারতে মারতে এগিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালে বাসের ধাক্কায় দু’জন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনায় একাধিক বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উত্তেজিত জনতা। ফের বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের।
  • Link to this news (বর্তমান)