• বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্পে তাপপ্রবাহ এড়াচ্ছে বাংলা
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময়: ক্রমশ তেতে উঠছে মধ্য ভারতের মালভূমি। সে দিক থেকে বয়ে আসা শুকনো ও গরম হাওয়া এত দিনে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গকে জ্বালিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করতেই পারত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাকে রক্ষা করছে বঙ্গোপসাগর থেকে ঢোকা বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্প।

    সমুদ্রের দক্ষিণে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি, দক্ষিণ–পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ু পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং বিহার থেকে তেলঙ্গানা পর্যন্ত বিস্তৃত অন্য একটি অক্ষরেখার প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলাড়ু ও পুদুচেরির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার, বৃষ্টি না হলেও ওডিশা ও সংলগ্ন বাংলার বাতাসেও প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকেছে। যার প্রভাবে এ পর্যন্ত বাংলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মত আবহবিদদের একাংশের।

    ২০২৪–এর মতো ২০২৫–এও ভয়াবহ তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। মধ্য ভারতের মালভূমি অঞ্চলের অনেকখানি এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে। উত্তরের সমভূমিরও এক হাল। রবিবারই ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল প্রয়াগরাজের তাপমাত্রা। এমন অবস্থায় পশ্চিম দিক থেকে যে হাওয়া গাঙ্গেয় বঙ্গে ঢোকে, তা একেবারে শুকনো ও গরমই থাকে। তাই বাংলার বিস্তীর্ণ অংশে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি শুকনো গরম শুরু হয়ে যায়।

    কিন্তু, এ বার এখনও পর্যন্ত সহনীয় স্তরেই আছে গরমের মাত্রা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়েছে দু’দিন — ১৬ ও ২৮ মার্চ। কিন্তু মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকেই বঙ্গোপসাগরের উপরে পর পর নানা ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হওয়ায় দেশের পূর্ব উপকূল দিয়ে ক্রমাগত জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকছে। এর প্রভাবেই বাংলায় এখনও পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন আবহবিদরা। তাঁদের ধারণা, যতদিন জলীয় বাষ্পের প্রভাব থাকবে, ততদিন তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পাবে বাংলা।

  • Link to this news (এই সময়)