• মমতার বার্তার পরেও স্কুলে এলেন না চাকরিহারাদের অনেকেই, মুখভার সহকর্মীদেরও
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বার্তার পর আশার আলো দেখছিলেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা ভেবেছিলেন, ফের ‘চাকরিহারা’ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা মঙ্গলবার থেকে স্কুলে ফিরে আসবেন। সহকর্মীদের জন্য যাঁদের মন কেঁদেছিল, তাঁরাও খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু স্কুলে পৌঁছে সেই মুখগুলি না দেখে অনেকেরই মন খারাপ। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরেও চাকরিহারাদের দ্বিধা যে কাটেনি তা স্পষ্ট। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকাংশ স্কুলে দেখা মেলেনি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের।

    পূর্ব মেদিনীপুরের নাটশাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্রনারায়ণ পন্ডা বলেন, ‘আমাদের স্কুলে ১১৪৫ জন পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন শিক্ষক ও ৪ জন অশিক্ষক কর্মচারী। মোট ৬ জন চাকরিহারা হওয়ায় বেশ সমস্যা হচ্ছে। এ দিনও তাঁরা অনেকেই আসেনি। কবে এই সমস্যা দূর হবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।’ আবার গেঁওখালি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সন্তু বেরা বলেন, ‘আমাদের স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৮১০ জন। শিক্ষক ২৬ জন, শিক্ষাকর্মী ৬ জন। কিন্তু ৪ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হওয়ায় বেশ সমস্যা হচ্ছে। আশা করেছিলাম, তাঁরা হয়তো আসবেন, কিন্তু এলেন না। তাঁরা ফের স্কুলে ফিরবেন কি না সেই চিন্তাই করছি।’

    এ দিকে হলদিয়া পুনর্বাসন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক তপনকুমার জানিয়েছেন, মহিষাদল গার্লস হাইস্কুলেও একই অবস্থা। এর জন্য স্কুল চালানোর ক্ষেত্রেও বেশ সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হলদিয়া পুনর্বাসন বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক। পাঁশকুড়া, কোলাঘাটের অধিকাংশ স্কুলেই এলেন না চাকরিহারা শিক্ষকরা।

    প্রসঙ্গত, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে চাকরিহারাদের কাজে ফিরতে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চাকরিহারাদের বৈঠকে পরেও যে অনেকে দোলাচলে রয়েছেন, তা কিন্তু একেবারে স্পষ্ট।

  • Link to this news (এই সময়)