রবিবার মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ছয় জনকে ধাক্কা দেন ছোট পর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস। জখমদের মধ্যে এক জনের পরে মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পরিচালক উত্তেজিত জনতার হাতে প্রহৃত। চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে।
ঠাকুরপুকুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত আমিনুর রহমানের পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করলেও এটি ইচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড। পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, গাড়িটি প্রথমে দাঁড়িয়ে ছিল এবং পরে দ্রুতগতিতে আমিনুরকে ধাক্কা মারে।
পরিবার আরও জানায়, দুর্ঘটনাস্থলে গাড়ির মধ্যে সাতটি মদের বোতল ও গাঁজার কলকে পাওয়া গেলেও, এফআইআরে সেগুলোর উল্লেখ নেই। তাদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর আমিনুর রহমান গুরুতর আহত হলেও, পুলিশের তরফ থেকে কোনও সাহায্য বা অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করা হয়নি। বিভিন্ন হাসপাতালে স্থান না পেয়ে, শেষ পর্যন্ত রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর, স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে গাড়িটি ভাঙচুর করে এবং চালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোকে মারধর করে। পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে এবং গাড়িতে থাকা এক মহিলাকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। চালকের আসনে ছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ সেনগুপ্ত, কার্যকরী প্রযোজক শ্রিয়া বসু। এই মুহূর্তে পুলিশি হেফাজতে ভিক্টো। জামিনে মুক্ত শ্রিয়া।
পরিবার কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার তীব্র নিন্দা করে এবং দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানায়। পুলিশের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার জন্যও পরিবারকে বলা হয়েছে পুলিশের তরফে। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জোরালো হয়েছে।