অরূপ বসাক: মাল ব্লকের ওদলাবাড়ি থেকে কাঠামবাড়ি যাওয়ার জঙ্গল সংলগ্ন রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিরাট দাঁতাল। যার ফলে কিছুক্ষনের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এই রাস্তা দিয়ে।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে এই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এটাই কি সেই হাতি? প্রশ্ন এলাকার মানুষের মধ্যে। এই রাস্তা দিয়ে মাঝে মধ্যে এই হাতিকে দেখতে পায় পথ চলতি মানুষ। আর এতেই সাধারণ মানুষ ভিতো। তবে হাতিটি কিছুক্ষন রাস্তার দাঁড়িয়ে থাকার পর আবার জঙ্গলে চলে গেলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়। বন দফতর হাতির প্রতি নজর রেখে চলেছে।
গত কয়েক মাস যাবত দেখা যাচ্ছে হাতির আনাগোনা বেড়েছে লোকালয়ে। তবে সব থেকে বড় বিপদের কারণ হল বিভিন্ন জঙ্গলে দিনের আলো ফুটতেই বহু মানুষ এবং মহিলারা জ্বালানি সংগ্রহের জন্য জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। জঙ্গলের ভেতর থেকে শুকনো ডালপালা সংগ্রহ করতে গিয়েই বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এইভাবেই জালানি সংগ্রহ করতে গিয়েই বারবার মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে বন দপ্তরের পক্ষ থেকে বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হলেও কিছু মানুষ তা কোনও মতেই শুনছে না। বনদফতরের বিনা অনুমতিতেই জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করছে জ্বালানি সংগ্রহ করতে। গত দুদিনে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনার পর সোমবার মালবাজার মহকুমার ক্রান্তি ব্লকের কাঠামবাড়ি বনদফতর এর উদ্যোগে বনবস্তি এলাকায় এক অ্যাওয়ারনেস ক্যাম্প করা হল।
বিগত দিনে দেখা গেছে হাতির আক্রমণে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। কখনও দেখা গেছে, চালসার মঙ্গলবাড়ী বাজারে হাতির আক্রমণে মৃত্যু এক ছয় বছরের এক শিশুর। আবার কখনও দেখা গেছে নাগরাকাটার খেরকাটা জঙ্গলে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এছাড়াও গরুমারা গরাতি ক্যাম্পে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক পাতা ওয়ালার, চাপরামারি জঙ্গল দিয়ে বাইকে করে যাবার সময় হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক মহিলার। এছাড়াও তার ঘেরা জঙ্গলে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আবার ক্রান্তি ব্লকের ষোলঘরিয়া এলাকায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, ক্রান্তি ব্লকের বারঘরিয়া এলাকায় জঙ্গলে কাঠ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির আহত দুই মহিলা, হাতির আক্রমণে দুই কৃষক আহত হয় গজলডোবার ৭ নাম্বার কলোনীতে। এই কারণেই মালবাজারের মানুষ অত্যন্ত ভীত। কখন কী হয়ে যায়, সে নিয়েই সকলেই চিন্তায়।