নিরুফা খাতুন: চৈত্র শেষের পথে। এরই মধ্যে টের পাওয়া যাচ্ছে বৈশাখের তীব্র গরমের অনুভূতি! অস্বস্তিকর আবহাওয়া গোটা দক্ষিণবঙ্গেই। সকাল থেকে রোদের তেজ দেখে গেলে বেলা বাড়লে মেঘলা আকাশ, ভ্যাপসা গরম। পথে বেরিয়ে এখনই ঘামে ভিজছেন আমজনতা। কবে এই অস্বস্তিকর আবহাওয়া থেকে রেহাই মিলবে? কবে বৃষ্টিতে চৈত্রের খরতাপ থেকে স্বস্তি পাওয়া যাবে? হাওয়া অফিস অবশ্য এনিয়ে খুব একটা সুখবর শোনাতে পারেনি। মঙ্গলবারের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা দু থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মধ্য-দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে অসম ও ঝাড়খণ্ডের কাছে। আবার মঙ্গলবার নতুন করে তৈরি হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এই ত্রিফলায় আগামী কয়েকদিন বঙ্গে তাপমাত্রা ওঠাপড়া করবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা আবহাওয়ায় তেমন হেরফের হবে না বলেই পূর্বাভাস। শুক্রবার থেকে রবিবার অর্থাৎ সপ্তাহান্তে দক্ষিণবঙ্গে ঝোড়া হাওয়া, সঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তাতে দু থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে, তাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি জারি থাকবে।
মঙ্গলবার রাঢ়বঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ-সহ ৬ জেলায় ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়ের বেগ বাড়তে পারে। ঘণ্টা ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ে হাওয়া বইবে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতের পূর্বাভাসও রয়েছে। এদিকে, উত্তরবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়াও বইবে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে উত্তরবঙ্গের প্রতি জেলায়।
কলকাতায় দিনের বেলা মেঘলা আকাশ। বিকেল বা সন্ধ্যায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হবে না। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২ ডিগ্রি বেশি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫০ থেকে ৯০ শতাং। ফলে ঘর্মাক্ত পরিবেশ রয়েছে।