‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, গেলেন SSC দপ্তরে
প্রতিদিন | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
রমেন দাস: সল্টলেকের বাড়িতে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বললেন প্রাক্তন আইনজীবী তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ফের বললেন, এখনও যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। তবে তার জন্য রাজ্যের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করলে চাকরি ফিরে পেতে পারে যোগ্যরা। অন্য়থায় ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোডের প্রস্তাব দিলেন তিনি। পাশাপাশি এদিন বিকেলে চাকরিহারাদের একাংশের ন্যায়বিচারের দাবিতে এসএসসি দপ্তরেও যান অভিজিৎ। এদিকে প্রচারে ভেসে থাকার জন্য প্রাক্তন বিচারপতি চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলছেন, সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলছেন বলেই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
২৬ হাজার চাকরি বাতিলের ভবিষ্যৎ কী? কোন পথে এগোলে চাকরি ফিরতে পারে, এহেন বহু প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের মনে। উত্তর খুঁজতে মঙ্গলবার প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন একটাই, উদ্ধারের পথ কী? সেখানেই অভিজিৎবাবু বলেন, রাজ্যকে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী চাকরি ফিরে পেতে পারেন ‘যোগ্য’রা। এছাড়াও রাস্তা রয়েছে। সেটি কী? মামলাকারীদের কাছে একটি ‘অযোগ্য’দের তালিকা রয়েছে। সিবিআইয়ের কাছেও লিস্ট রয়েছে। সেগুলোর ভিত্তিতেও চাকরিতে পুর্নবহাল হতে পারেন যোগ্য চাকরিহারারা।
এখানেই শেষ নয়। এদিন ফের কমিটি তৈরির কথা বললেন অভিজিৎ। কীভাবে কাজ করবে সেই কমিটি? প্রাক্তন বিচারপতি জানান, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারে এসএসসি। এরপরই কমিটি খতিয়ে দেখবে সেই ওএমআর। সেখান থেকে যাদের বেছে নেওয়া হবে তাঁদের অ্যাকাডেমিক স্কোর দেখে নম্বর যোগ করা হবে। এই পদ্ধতিতে সহজেই চাকরি ফিরে পেতে পারেন ‘যোগ্য’রা। তবে রাজ্যের সহযোগিতা ছাড়া এগুলো সম্ভব নয়, সেক্ষেত্রে ‘গঙ্গায় ডুব দেওয়া’ ছাড়া গতি নেই বলেই মন্তব্য বিজেপি সাংসদের। উল্লেখ্য, এই বৈঠক শেষেই মঙ্গলবার বিকেলে এসএসসি দপ্তরে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কৌস্তভ বাগচি ও চাকরিহারাদের একাংশ। তবে চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের দেখা পাননি তাঁরা। আগামিকাল ফের কমিশনের দপ্তরে যাবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। প্রচারে ভেসে থাকার জন্য প্রাক্তন বিচারপতি চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলছেন, সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলছেন বলেই মন্তব্য করলেন তিনি। আরও বলেন, “উনি কোনওদিন কিছু সমাধান করে দেননি। জানতেন বিজেপিতে যাবেন, তাই নিজেই হাই কোর্টে বসে জট পাকিয়েছিলেন।” সমস্যা সমাধানের পথ জানা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিন অভিজিৎ, এমনই মন্তব্য করলেন কুণাল ঘোষ।