সল্টলেকের আন্তর্জাতিক কল সেন্টারের পর্দাফাঁস, নরেন্দ্রপুর থেকে গ্রেপ্তার চক্রের পাণ্ডা
প্রতিদিন | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
বিধান নস্কর, বিধাননগর: সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে আন্তর্জাতিক কল সেন্টারের পর্দাফাঁস। কিছু দিন আগেই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিশ তদন্ত চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। সেই সূত্র ধরেই ফের গ্রেপ্তার। অভিযান চালিয়ে তদন্তকারীরা আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করলেন বলে খবর। বিশাল বড় চক্র রয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। সোমবার রাতে এই অভিযানে চক্রের অন্যতম পাণ্ডা শুভ্রনারায়ণ দাস মণ্ডলকে গ্রেপ্তার হয়েছে বলেও খবর। গত মাসের শেষের দিকে এই আন্তর্জাতিক কল সেন্টারের পর্দাফাঁস হয়েছিল। লেকটাউনের একটি বাড়ি থেকে তিন কোটি টাকাও উদ্ধার হয়েছিল বলে খবর।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে কিছুদিন আগে সল্টলেক সেক্টর ফাইভের একটি কল সেন্টারে হানা দিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য পাওয়া যায়। সেই সূত্র ধরেই সোমবার রাতে নরেন্দ্রপুর এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চক্রের অপর চারজনকে। সেখান থেকে মোবাইল এবং ল্যাপটপ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর ধৃতরা কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছিল। মূলত সাধারণ মানুষকে ফোন করে সফটওয়্যার সাপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিত। সাধারণ মানুষ তাদের ফাঁদে পা দিলে বিভিন্নভাবে ধাপে ধাপে টাকা হাতিয়ে নিত।
এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডা শুভ্রনারায়ণ দাস মণ্ডলও গতকাল গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যক্তিই এই আন্তর্জাতিক ভুয়ো কল সেন্টার চালাত বলে খবর। ফোনকলের মাধ্যমে বহু মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে বলে অনুমান। ধৃতদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ থেকে প্রচুর তথ্য পাওয়া যাবে বলেও অনুমান। ধৃতদের ধারাবাহিক জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। এমন কথাও অনুমান করা হচ্ছে। ধৃতদের ধারাবাহিক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। ধৃতদের আজ মঙ্গলবার বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। আর কারা এই চক্রে জড়িয়ে, তারও খোঁজ চলছে।
বিধাননগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ ও বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছিল। মোট ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেক্টর ফাইভের বিল্ডিং থেকে উদ্ধার হয় ৬৭ লক্ষ টাকা। বাগুইআটি চিনার পার্কের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩ কোটি ৩ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি, সোনার গয়না, ১৪টি ফোন, দুটো নোটবুক, একটি ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন, ছয়টি ডেস্কটপ, এছাড়াও চারটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়।