স্টাফ রিপোর্টার: নববর্ষের আগের দিন এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রোপথ পরিদর্শনে আসতে পারেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। তারপর তাঁরা পর্যবেক্ষণ জানাবেন। কাজ শেষ হলে এই অংশে সিএআরএস মেট্রো চলার সবুজ সংকেত দেবে। আর তবেই যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ মেট্রো পথে। মেট্রো সূত্রে খবর, সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসে এই লাইনে যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো।
চলতি মাসেই এই অংশে মেট্রো চালুর চেষ্টা করা হলেও তা একপ্রকার সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন মেট্রোকর্তারা। শিয়ালদহ-এসপ্ল্যানেড অংশ খুলে গেলে দীর্ঘ দেড় দশকের চেষ্টায় চালু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সম্পূর্ণ রুট- হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। পাশাপাশি নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট এবং রুবি থেকে বেলেঘাটা রুটেও মেট্রো চালু হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই তিন মেট্রো সম্প্রসারণেরই উদ্বোধন করতে পারেন। তবে তিনি কবে সময় দেবেন সে বিষয়ে মেট্রোকর্তারা কেউ কিছু জানাননি। তাঁদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের তরফে কোনও যোগাযোগই করা হয়নি বলে খবর।
উল্লেখ্য, বউবাজারে মেট্রোর সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের কারণে হাওড়া-সেক্টর ফাইভজুড়তে এতটা সময় লেগে গেল। একটা সময় প্রকল্প কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ পাঁচ বছরের চেষ্টায় সেই সমস্যা কাটিয়ে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেডের মধ্যেও মেট্রো এখন ছোটার অপেক্ষায়। গত কয়েকমাস ধরে সেখানে চলছে ‘ট্রায়াল রান’। এখনও অবশ্য ওই অংশের অগ্নিসুরক্ষা সংক্রান্ত ছাড়পত্র মেলেনি। গত বছর ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী গঙ্গার নীচ দিয়ে মেট্রো পরিষেবার উদ্বোধন করেছিলেন। সেদিন তিনি এসপ্ল্যানেড থেকে মেট্রোয় চেপে গঙ্গার নীচ দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন হাওড়া ময়দানে।
এদিকে এর পাশাপাশি নোয়াপাড়া থেকে জয়হিন্দ (এয়ারপোর্ট) পর্যন্ত মেট্রোর জন্য পরিকাঠামো নির্মাণের কাজও শেষ। এই অংশ চালু হলে কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রুটের যাত্রীরা নোয়াপাড়ায় নেমে দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড হয়ে এয়ারপোর্টে পৌঁছে যেতে পারবেন। এই মেট্রো রুট চালু হলে বিমানবন্দরে যাওয়া-আসা অনেকটাই সহজ হবে। একইভাবে রুবি-বেলেঘাটা অংশেও মেট্রো ছোটা সময়ের অপেক্ষায়। দীর্ঘদিন ধরে সিআরএস ছাড়পত্র পেয়েও এই লাইনে মেট্রো ছোটা শুরু হয়নি। এবার তা হলে কবি সুভাষে নেমে বেলেঘাটা পর্যন্ত চলে আসা যাবে সহজে। বেলেঘাটা পর্যন্ত এই রুট সম্প্রসারিত হলে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছেন মেট্রোর কর্তারা।