চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অফিসে অভিজিৎ, চেয়ারম্যানের দেখা না মেলায় ফের আসবেন
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে এসএসসি অফিস পর্যন্ত মিছিলে ছুটলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সল্টলেকের বাড়িতে ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের সঙ্গে তিনি কথাও বললেন। আর দাবি করলেন, এখনও যোগ্য–অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব। রাজ্যের সহযোগিতা মিললেই তা করে দেওয়া যাবে বলে প্রাক্তন বিচারপতির মত। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আইনি পরামর্শের জন্য আজ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন চাকরিহারাদের একাংশ। আর সেখান থেকেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসি অভিযানে যাচ্ছেন তিনি।
এদিকে এই অভিযানের কথা বলেই তড়িঘড়ি ছুটে যান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার বিকেলে চাকরিহারাদের নিয়ে এসএসসির দফতরে পৌঁছন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীও। যদিও এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা পাননি তাঁরা। সুতরাং খালি হাতে ফিরতে হল তাঁদের। তখন মিছিল থেকে সংবাদমাধ্যমকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। আরও বৃহত্তর আন্দোলন হবে এসএসসি ইস্যুতে। এসএসসি যোগ্য–অযোগ্যর তালিকা প্রকাশ করলে চাকরি ফিরে পেতে পারেন যোগ্যরা। ২০১৬ সালের এসএসসি’তে অংশগ্রহণকারী সমস্ত পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করলেও হবে।’
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের আশ্বস্ত করেছেন। কিন্তু এটাই এখন ইস্যু করে মাঠে নেমে পড়েছে বিজেপি। আজ চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলার পরই সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বিজেপির সাংসদের বক্তব্য, ‘যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর দায় মুখ্যমন্ত্রীরই। তাঁর জন্যই যোগ্য–অযোগ্য বাছাই করা যাচ্ছে না। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত–পা বেঁধে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যোগ্য–অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে দেওয়া হচ্ছে না রাজনৈতিক কারণেই।’
এছাড়া এসএসসি অফিসে গিয়ে দেখা পাননি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের। সুতরাং গোটা পরিকল্পনা ফ্লপ হয়ে যায় তাঁদের। তবে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হাল ছেড়ে না দিয়ে তাঁর কথায়, ‘আমরা আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। ওখানে থাকা পুলিশ অফিসারকেও জানিয়েছি যে আমরা বুধবার আবার আসব। আমাদের দাবি, ওএমআরের মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনা হোক। আর যাঁরা তা প্রকাশ্যে আনতে দিচ্ছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।’ পাল্টা খোঁচা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, ‘উনি বিচারপতি থাকাকালীন রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলতেন। আর এখন সাংসদ হয়ে বিচারপতির মতো কথা বলছেন। শুনেছিলাম এক সময় নাকি উনি অভিনেতা হতে চাইতেন! উনি কি জানেন না কোন সময় কোন পার্ট করতে হয়? প্রকৃত অভিনেতার বোঝা উচিত কোনটা কার কাজ।’