নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই নয় শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ন’জন শিশুকেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার বিকেলে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে এই ঘটনায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তেহট্ট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ে একের পর এক শিশু। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে জ্বর, পেট খারাপ, বমি-সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে ২৫-৩০টি শিশুকে ভর্তি করানো হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। তাদের অভিভাবকদের দাবি, হাসপাতালে ভর্তির পরই তাঁদের জ্বরের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে বলা হয় হাসপাতালের তরফে। সূত্রের খবর, শিশুদের সেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পাশাপাশি হাসপাতাল থেকে ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। আর সেই ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, অ্যান্টিবায়োটিক ও ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর কয়েকজন শিশুর মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোয়। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের বাইরে থেকে আনা ওষুধ ও মহকুমা হাসপাতালের ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বাধ্য হয়ে তাদের অভিভাবকরা শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৯’জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তাদের দেখে অন্য অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাকিরা তেহট্ট হাসপাতালে এখনও চিকিৎসাধীন।
জানা গিয়েছে, ৯ জন শিশু এখন সুস্থ রয়েছে। এ বিষয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের সুপার বাপ্পাদিত্য ঢালি বলেন, ‘শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়। তাদের বিভিন্ন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে। তবে কোন ইঞ্জেকশন থেকে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ল তা এখনই বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মার্চেও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে একের পর এক প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময়ও প্রসূতিদের ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার অভিযোগ করেছিল পরিবারের সদস্যরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে অ্যালার্জির সমস্যার জন্য এমনটা হয়ে থাকতে পারে।