• হঠাৎ করেই বদল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার কেন্দ্র, চরম বিপাকে পরীক্ষার্থীরা
    এই সময় | ০৮ এপ্রিল ২০২৫
  • নির্ধারিত সময়ের আগেই হুগলির পোলবার পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিও ছিল তাঁদের। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই মাথায় হাত ওই পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের। তাঁরা জানতে পারেন, হঠাৎই বদল হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্র। তাদের পরীক্ষা দিতে যেতে হবে সেখান থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে বর্ধমানে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কী ভাবে সেখানে পৌঁছবেন তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। পরে স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে দেয়। সেই বাসে চেপেই এক রাশ উদ্বেগ নিয়ে পরীক্ষা দিতে যান ওই পরীক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার ছিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন পরীক্ষা। সেই পরীক্ষার সিট পরেছিল হুগলির পোলবার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ওই কলেজে ১১৫ জনের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন তাঁরা। এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকাল ৩টা থেকে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর মাত্র আধ ঘণ্টা আগে তাঁরা জানতে পারেন ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। তা শুনেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন ওই পরীক্ষার্থী এবং তাঁদের অভিভাবকরা। কী ভাবে ওই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসতে পারবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে যান তাদের অভিভাবকরাও।

    জানা গিয়েছে, ওই কেন্দ্রে পরীক্ষা যে নেওয়া হবে না, তা জানানো হয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে। একটা নোটিস দিয়ে জানানো হয়, পোলবার বদলে ওই কেন্দ্রের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে বর্ধমান শহরের নবাবহাটে। কিন্তু কী কারণে হঠাৎ করে কেন্দ্র বদল? তা জানাতে পারেননি পোলবা বিডিও জগদীশচন্দ্র বারুই। এই নিয়ে আগে থেকে তাঁদের কাছে কোনও খবর ছিল না বলেও জানান তিনি।

    তাহলে কি পরীক্ষা দিতে পারবেন ওই ১১৫ জন? পোলবা-র বিডিও জানান, বিষয়টি জানার পরেই হুগলির জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে তিনটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়। ওই বাসেই পরীক্ষার্থীরা রওনা দেন। তাঁর দাবি, বিষয়টি বর্ধমানের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই সেখানে পৌঁছে যাবেন পরীক্ষার্থীরা। সেখানে এই পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় বা ‘গ্রেস টাইম’ দেওয়া হবে।

    পোলবায় হয়রান হওয়ার পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাসে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে এই পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে বসবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। বর্ধমানে পৌঁছে তারা আদৌ পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন একাধিক অভিভাবক।

  • Link to this news (এই সময়)