সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পুনর্বহাল করার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনি পথে লড়াইয়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এ বার রাজ্যের সমস্ত দপ্তরের মামলার তদারকি ও নজরদারি করতে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করল নবান্ন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে চেয়ারম্যান করে এই কমিটি তৈরি করা হলো মন্ত্রিসভার বৈঠকে। যে কোনও দপ্তরের আদালত সংক্রান্ত বিষয়ে জানাতে হবে এই কমিটিকে। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ফিরহাদ হাকিমকে রেখে এই কমিটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
এসএসসি-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক পদে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই বেসামাল অবস্থা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার। পুরো বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তির মধ্যেই পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। ফলত, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যাতে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়, সেই কারণেই সব দপ্তরের আইনি সমস্যাকে এক ছাতার তলায় আনতে এই উদ্যোগ বলেই জানাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একাধিক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য মন্ত্রিসভা সার কারখানার জন্য পানাগড় শিল্পতালুকে এগ্রি সোর্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩৮.১৮২ একর জমি বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও হাওড়া, বাঁকুড়া, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুরে বেসরকারি উদ্যোগে শপিং মল তৈরির জন্যেও জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। শপিং মলের দুটি তল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ব্যবহারের জন্য দিতে হবে বলেও শর্ত দিয়েছে নবান্ন।
তথ্য সহায়তা: সুগত বন্দ্যোপাধ্যায়