চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষে হয় বাসন্তী পুজো। বাংলার আদি দুর্গাপুজো এটিই। সেই পুজোর নবমীর দিন হইচই বাঁকুড়ার রাজাবাজার এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নবমীর দিন কুয়ো থেকে তুলে রাখা জলের মধ্যে দেখা যাচ্ছে তিনটি ‘চোখ’-এর আকৃতির মতো কিছু। যদিও বিষয়টি কোনও অলৌকিক ঘটনা নয় বলেই দাবি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যদের।
বাঁকুড়ার সারেঙ্গা রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা তারক নাথ মিশ্র কুয়ো থেকে এক বালতি জল তুলে বাড়িতে রেখে ছিলেন কাজের জন্য। এ দিন সকালে বাড়িতে কাজ করার সময় জলের বালতির মধ্যে তারকনাথের স্ত্রী দেখেন, বালতির জলের মধ্যে তিনটি চোখের মতো কিছু জ্বলজ্বল করছে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়ে চায়না মিশ্রকে ডেকে দেখান সেটি। সেও দেখে অবাক হয়। সেই জলের বালতি বাইরে বের করে নিয়ে রাখা হয়।
আশেপাশের কয়েকজন বাসিন্দাও সেই জলের বালতি দেখতে চলে আসেন। ধীর ধীরে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় ভিডিয়ো। সেই জলের বালতি দেখতে উপচে পড়ে উৎসুক জনতার ভিড়।
খবর পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গ সারেঙ্গা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সদস্যদের কাছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পেশায় শিক্ষক ও সারেঙ্গা বিজ্ঞান কেন্দ্রের সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি বলেন, ‘জলের মধ্যে ছত্রাক থাকার কারণে এমনটা হয়েছে, এটা কোনও অলৌকিক ঘটনা নয়।’ বিষয়টি গ্রামবাসীকেও বোঝানো হয়। বালতির জল থেকে কিছুটা জল সংগ্রহ করা হয়েছে, সেটা বুধবারপরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান হয়েছে।