রাজ্য পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সঙ্গে একহাত নিলেন যোগী রাজ্যের পুলিশকেও। কটাক্ষের সুরে বললেন, ‘উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ডান্ডা দেখায়, আমাদের পুলিশ এরকম নয়।’ পুলিশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গবাসীর পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি ওয়াকফ আইন নিয়েও একহাত নেন কেন্দ্রকে।
মঙ্গলবার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার মেয়াদপোতা পুলিশ ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। বলেন, আমাদের পুলিশ বাড়ির মা-ভাই-বোনেদের মতো পারিবারিক ঝামেলাও ঠিক করে দেয়। আবার বাড়িতে বাচ্চা হলে ওসি সাহেব গিয়ে মিষ্টিও খাইয়ে আসেন।’ মঞ্চে পুলিশের কয়েকজন পদস্থ আধিকারিকও ছিলেন।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, ‘উত্তরপ্রদেশে যা ঘটছে তা ভুল। প্রতিদিনই দেওয়ানি মামলাগুলিকে ফৌজদারি মামলায় রূপান্তরিত করা হচ্ছে। আইনের শাসন সম্পূর্ণ লঙ্ঘিত হচ্ছে।’
এদিন মহুয়া পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তাও দেন আমজনতাকে। তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে পুলিশের উপর রাগ করে অনেকে অনেক কথা বলেন। কিন্তু তাঁরাও মানুষ। পরিবার-পরিজনকে ছেড়ে তাঁরা চাকরি করতে এসেছেন। পুলিশি ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ভালো উদ্যোগ বলেও মন্তব্য করেন সাংসদ।
ওয়াকফ নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন মহুয়া। ঝাঁঝালো সুরে প্রশ্ন তোলেন, ‘একসময় হিন্দু জমিদারদের অনেক সম্পত্তি ছিল। তাঁরাও দান করতেন। নতুন আইনে অহিন্দু কেউ ওয়াকফকে দান করতে পারবে না। আমার জমি কাকে দেব আমার ব্যাপার। এটাও বৈষম্য।’
অনুষ্ঠানে সাংসদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর প্রমুখ। মঞ্চ থেকে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বইখাতা এবং বয়স্কদের হাতে বস্ত্র তুলে দেন মহুয়া।