এক দিনের অতিথি, তার জন্যই সাজো সাজো রব গোটা এলাকায়। এলাকা বলা ভুল, তুমুল সাজগোজ চলছে স্টেশনে। বাঙালির অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন শান্তিনিকেতন। কলকাতা থেকে দ্রুত এবং সরাসরি বোলপুর-শান্তিনিকেতন পৌঁছনোর জন্য যে ট্রেনগুলি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। শুধু শান্তিনিকেতনই নয়, তারাপীঠ যাওয়ার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ট্রেন। এক দিনের জন্য বদলে যাচ্ছে এই ট্রেনের রুট।
হাওড়া থেকে ছেড়ে বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার যায় রামপুরহাট জংশন। ব্যান্ডেল, বর্ধমান হয়ে গুসকরা, বোলপুর পেরিয়ে সাঁইথিয়া হয়ে তারাপীঠ হয়ে রামপুরহাট পৌঁছয় এই ট্রেন। হাওড়া থেকে বিকেল ৪টে ৩৫ মিনিটে ছেড়ে এই ফাস্ট প্যাসেঞ্জার রামপুরহাট জংশন পৌঁছয় ৯টা ২৫ মিনিটে। হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম এই চার জেলার উপর দিয়ে যায় ট্রেনটি।
এই রুট বদলে যাচ্ছে বুধবার। বিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার এ দিন আমোদপুর-কাটোয়া রেলপথে চালানো হবে। কীর্ণাহার , লাভপুর এবং কান্দরা স্টেশনে স্টপেজ দেওয়ার সম্ভাবনাও আছে। সেই কারণেই স্টেশনে সাজো সাজো রব। সাফসুতরো করা হচ্ছে, তার পাশাপাশি স্টেশনে পড়েছে নতুন রং। আমোদপুর-কাটোয়া তারাশঙ্কর রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অরুণ রায় বলেন, ‘সরাসরি কলকাতা যাওয়ার একটি ট্রেনের দাবি আমাদের অনেকদিনের। একদিনের জন্যে হলেও সেই দাবিটা পূরণ হল। আমরা লাভপুর , কীর্ণাহার এবং কান্দরাতে স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আশা করি রেল দফতর পরে এই রেলপথে কলকাতা যাওয়ার একটি স্থায়ী ট্রেন দেবে।’ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভেদিয়ার কাছে রেললাইনে কাজের জন্য আপাতত একদিনের জন্য ট্রেনটিকে নিদ্দিষ্ট লাইনের পরিবর্তে অন্য লাইনে চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।