• চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে অভিজিৎ, 'থিয়েটার ভালোবাসেন' কটাক্ষ ব্রাত্য বসুর
    আজ তক | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারানো প্রায় ২৬  হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে এখন তীব্র অস্থিরতা। তাঁদের ভবিষ্যৎ কী? কোন পথে এগোলে চাকরি ফিরতে পারে, এহেন বহু প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে  যোগ্য চাকরিহারাদের মনে। উত্তর খুঁজতে  মঙ্গলবার প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন চাকরিহারাদের একাংশ। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টেয় সল্টলেকে প্রাক্তন বিচারপতির বাড়িতে যান তাঁদের প্রতিনিধিরা। 

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই দাবি করেছিলেন, যাঁরা জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন, তাদের আলাদা করে বাছাই করা সম্ভব। এজন্য যারা সৎ ভাবে চাকরি পেয়েছেন, তাদের সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। এদিনও চাকরিহারাদের উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ''আমি বলেছিলাম একটা কমিটি তৈরি করতে। যোগ্য অযোগ্য বের করা সম্ভব। সিবিআই যে মাদার ডিস্ক বের করেছিল সেটা এসএসসি সঠিক বলে ধরুক এবং ওটাই ওয়েব পেজে আপলোড করুক। তারপর সেটা সুপ্রিম কোর্টে পেশ করুন।'' বিজেপি সাংসদ আরও বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং এসএসসি চেয়ারম্যানের উচিত বিদ্রোহ ঘোষণা করা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় আদতে পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করছেন। সকলের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন তিনি। এদিকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর ব্রাত্য বসু।

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে বলেন, "যখন বিচারপতি ছিলেন তখন রাজনীতিকদের মতো কথা বলতেন।এখন সাংসদ হয়ে বিচারপতিদের মতো কথা বলছেন। " সেইসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় থিয়েটার ভালবাসেন বলেও কটাক্ষ করেন ব্রাত্য বসু। 

    উল্লেখ্য, এসএসসি কাণ্ডে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তাঁর বক্তব্য ‘‘যোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর দায় মুখ্যমন্ত্রীরই। তাঁর জন্যই যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা যাচ্ছে না।’’ চাকরিহারাদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক  বিজেপি সাংসাদ দাবি করেন, এসএসসি চাইলেই যোগ্য ও অযোগ্যদের পৃথক করতে পারে। কিন্তু এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের হাত-পা বেঁধে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক কারণেই যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে আনতে দেওয়া হচ্ছে না। অভিজিতের মতে, যোগ্যদের তালিকা এখনও বার করা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা বলছেন, ওঁরা ওএমআরের হার্ডকপি পুড়িয়ে ফেলেছেন! এ নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তবে যদি সত্যই তা হয়ে থাকে তা হলে আসল-নকল বাছাইয়ের উপায় নেই।’’ বিজেপি সাংসদের যুক্তি, আপাতত পরীক্ষার ফলাফলের সঙ্গে নিয়োগতালিকা মিলিয়ে দেখা হোক কত জন আদতেই পাশ করেছেন। অথবা অযোগ্যদের বাছতে  সিবিআইয়ের তালিকা সঠিক ধরে নিয়ে এগোক এসএসসি।
     
  • Link to this news (আজ তক)