জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার, ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে ডিএইচ রোডে নো এন্ট্রিতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিল ভিক্টো। নো এন্ট্রিতে ঢুকে বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয় পরিচালক সিদ্ধান্তের গাড়ি। দুর্ঘটনায় মারা যান এক ব্যক্তি, এক ব্যক্তি চিকিত্সাধীন। এমতাবস্থায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে।
ঠাকুরপুকুর বাজার থেকে বাখরাহাট রোড পর্যন্ত রাস্তায় পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। সেই রাস্তায় গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা আছে। নো এন্ট্রিতেই গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে মত্ত ভিক্টো। সেই সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে গল্প করছিলেন আমিনুর রহমান। এফআইআরে বলা হয়েছে গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দাবি গাড়িটি প্রথমে দাঁড়িয়েছিল, তারপর গতি বাড়িয়ে ধাক্কা মারে। আমিনুরকে ধাক্কা মেরে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। তারপর আবারও গাড়িটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যায় আর এর জেরে গুরুতর জখম হন ওই ব্যক্তি।
মৃতের পরিবার বলছে, পুলিস অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার রুজু করেছে, কিন্তু এটা ইচ্ছাকৃত খুনের ঘটনা। তাঁদের দাবি, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলার রুজু হওয়ার কারণেই হয়তো সহজে জামিন পেয়েছেন গাড়িতে বসে থাকা সকলে। পরিবারের দাবি, আমিনুর রহমান যখন দুর্ঘটনায় আহত হন, তখন পুলিশের তরফ থেকে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। কোনও অ্যাম্বুল্যান্সও পাওয়া যায়নি।
পরিবারের দাবি, গাড়ির মধ্যে মদের বোতল, গাঁজার কলকেও ছিল যা এফআইআর কপিতে উল্লেখ করা নেই। মৃতের ছেলের অভিযোগ, তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে কিন্তু দোষীদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমিনুরের ছেলের অভিযোগ, ‘যেদিন ঘটনা ঘটে রাত বারোটায় পুলিশ ডেকে সেটেলমেন্টের কথা বলে। আমার আব্বার জীবনের বদলে রথা করতে বলছে। যদি গাড়ি ব্রেক ফেল করে, তাহলে সিসিটিভি ক্যামেরায় তা দেখা যাচ্ছে না কেন? দুর্ঘটনার ঘটার আগে গাড়ি এক জায়গায় ব্রেক কষেছিল। সেলেব্রিটি বলে এরা বেঁচে যাবে তা হয় না, আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।’