অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: স্বামীকে খুনের দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তবে বেকসুর খালাস পেলেন তার প্রেমিক। মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক বিচারক মৈনাক দাশগুপ্ত। ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট শিলিগুড়ি বিধাননগর এলাকার বাসিন্দা সুবোধ মণ্ডলের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলে, স্ত্রী মঞ্জু মণ্ডলের সঙ্গে যুবক মহম্মদ নফরুলের বিবাহবর্হিভূত সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় খুন হতে হয় সুবোধকে। পরিবার শুরু থেকেই অভিযোগ তুলতে থাকে পরিকল্পনা মাফিক ১৮ আগস্ট সুবোধকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের মনে হয় এটা আত্মহত্যা। সুবোধের স্ত্রীও সেই দাবি করতে থাকেন। এবিষয়ে ১৯ আগস্ট ফাঁসিদেওয়া থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। রিপোর্টে দেখে পুলিশ জানতে পারে সুবোধকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ সুবোধের স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে। ১৫ অক্টোবর তাঁরা চার্জশিট দেয় এই মামলার।
সোমবার বিচারক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র?্যাক কোর্টে মঞ্জুকে দোষীকে সাব্যস্ত করে। মঙ্গলবার তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক মৈনাক দাশগুপ্ত। তবে আশ্চর্যজনকভাবে ছাড়া পেয়ে যায় তার প্রেমিক মহম্মদ নফরুল। এদিন এবিষয়ে সরকারি আইনজীবী গৌতম সাহা বলেন, “মঞ্জুর আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এর সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে তার প্রেমিক ছাড়া পেয়েছে। কারণ তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। মঞ্জুর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”