সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি গিয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে স্কুলে যাচ্ছেন উলুবেড়িয়ার চাকরিহারা শিক্ষক। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় গার্ডও দিয়েছেন। মাঝে একদিন উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা জমা দেওয়ার জন্য যেতে পারেননি। তবে মঙ্গলবারও তিনি স্কুলে এসেছিলেন।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে চাকরিহারাদের একাংশ তাতে সন্তুষ্ট নন। ফের স্কুলে যাবেন কি না, তা নিয়ে দোটানায় অনেকেই। এমনকী বেতন মিলবে কি না, বুঝতে পারছেন না তাও।
এই পরিস্থিতে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শ্যামপুর হাইস্কুলের হিসাবশাস্ত্রের শিক্ষক সুশান্ত দত্ত নিয়োগী। জানিয়েছেন, যতদিন সামর্থ্য থাকবে নিজের পয়সা খরচ করেই স্কুলে যাবেন। তাঁর সাফ কথা, ‘পড়ুয়াদের বঞ্চিত করতে পারব না।’
শ্যামপুর হাইস্কুলে কমার্স বিভাগে মাত্র দু’জন শিক্ষক। সুশান্তবাবু ছাড়া আর একজন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই সুশান্তবাবুর কাঁধেই ছিল বিভাগের যাবতীয় দায়িত্ব। এখন তিনি স্কুল ছাড়লে গোটা বিভাগটাই কার্যত অথৈ জলে পড়বে। স্কুল এবং পড়ুয়াদের আতান্তরে ফেলতে রাজি নন তিনি। তাই বিনা বেতনে আপাতত চাকরি করবেন সুশান্ত। স্কুলে যাবেন, পড়ুয়াদের ক্লাস নেবেন।
তাঁর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম দাস। তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো সিদ্ধান্ত, প্রশংসনীয় সিদ্ধান্ত। খুশি স্কুলের পড়ুয়ারাও।’