শুভেন্দু অধিকারীর কাটআউটে জুতোর মালা–কালি, রাজভবনের বাইরে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক–শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। এই চাকরি খেয়ে নেওয়ার কাজ করেছে বিজেপি এবং সিপিএম। এমনই অভিযোগ করেছেন খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই আজ, মঙ্গলবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাটআউটে জুতোর মালা এবং কালি দেওয়া হয়েছে। আজ রাজভবনের গেটের বাইরে সেটাই প্রত্যক্ষ করলেন রাজ্যবাসী। হাওড়া জেলা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন মঞ্চের পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি করা হয়। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপির পক্ষ থেকে ক্ষোভ উগরে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় এমন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।
২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। আর আগে একটা কোনও বড় ইস্যু ধরে খেলতে চাইছে বিজেপি। সেটা চাকরি বাতিল নিয়ে হোক বা দুর্নীতি ইস্যু কিংবা হিন্দুত্ব বলে অভিযোগ উঠেছে। এই জাতপাতের রাজনীতিতে ভাগ করে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বিজেপি বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। বাংলায় সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারী। এই অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেখানে এবার রাজভবনের বাইরে শুভেন্দু অধিকারীর কাটআউট এনে কালি লেপে দেওয়া হল। আর জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হল। যা অত্যন্ত বিতর্ক তৈরি করেছে।
এই কাজ করার জন্য রাজভবনের গেটের বাইরে জড়ো হন হাওড়া জেলা সাংস্কৃতিক উন্নয়ন মঞ্চের সদস্যরা। এই জুতোর মালা পরিয়ে এবং কালি লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয় বেশ কিছুক্ষণ। বিক্ষোভকারীরা শুভেন্দু অধিকারীর কাটআউট সঙ্গে নিয়েই এসে ছিলেন। সেই কাউআউটের গলায় জুতোর মালা প্রথমে পরানো হয়। তারপর কালিও লেপে দেওয়া হয়। এই সংগঠনের সভাপতি শ্রীকান্ত ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি দুর্নীতিগ্রস্ত বলে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপি ও শুভেন্দু অধিকারীরা বাংলার বুকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছেন অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে ডেপুটেশনও দেন তাঁরা।
রাজভবনের সামনে এমন ঘটনা ঘটল অথচ বিজেপির কাউকে প্রতিরোধ করতে দেখা গেল না। তবে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিজেপির পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ। পুলিশও এই বিক্ষোভ দেখেছে। তবে তা চরম আকার নেয়নি বলেই চুপ করে ছিল। পুলিশ কেন এসব দেখে ঠেকালো না? সেই প্রশ্ন তুলেছেন শঙ্কর। রাজ্যপালের এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি বিধায়ক। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘হাওড়া–সহ অন্যান্য জায়গায় ধর্মের নামে অশান্তির ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তাই মানুষেরও বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার আছে।’