• চাঁচলে রেস্তরাঁ, হোটেলে অনিয়ম রুখতে অভিযান, নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হল ল্যাবে
    বর্তমান | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: খাবার ঢাকা দেওয়ার কোনও বালাই নেই। তার মধ্যে মাছি, পোকামাকড় বসলেও সেই খাবারই পরিবশেন করা হচ্ছে। বিরিয়ানিতে পোকা উঁকি মারছে। এসব দেখে বেজায় ক্ষুব্ধ চাঁচল সদরের একাধিক রেস্তোরা ও বিরিয়ানির দোকানগুলিতে অভিযান যাওয়া খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। মঙ্গলবার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন চাঁচল মহকুমা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক রাহুল মণ্ডল ও চাঁচল মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট যোগেশ চন্দ্র মণ্ডল। একাধিক দোকানে খাবারের মান দেখে ক্ষুব্ধ হন আধিকারিকেরা। এমনকী ফ্রিজে অনেকদিনের কাঁচা মশলা ও খাদ্যদ্রব্য রাখা ছিল কয়েকটি রেস্তরাঁয়। এনিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন আধিকারিকরা। রেস্তরাঁয় ব্যবহার করা সস নিয়েও সন্দেহ জাগে আধিকারিকদের। তাঁরা সেগুলি ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। এছাড়া একটি রেস্তরাঁয় ফ্রিজে কয়েকদিনের মুরগির মাংস ও ঘুগনি দেখতে পান আধিকারিকেরা। সেগুলি ফেলে দিতে বলা হয়।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁচল সদরে দিনের পর দিন গজিয়ে উঠছে বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু সেখানে ন্যূনতম খাদ্য সুরক্ষা আইন মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা রশিক শেখ জুয়েল বলেন,জন্মদিন বা বিভিন্ন ইভেন্টে বন্ধুরা মিলে রেস্তরাঁয় খেতে যাই। মাঝেমধ্যে খাবারের মান নিয়ে সন্দেহ হতো। কিন্তু এদিনের অভিযানের পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। নিয়মিত নজরদারি চালালে মালিকেরা সতর্ক হবেন। আমরাও ভালো খাবার পাব।

    চাঁচলের বাসিন্দা মিজানুর ইসলামের কথায়,চাঁচলে অলিগলিতে রেস্তরাঁ ও বিরিয়ানির দোকান গজিয়ে উঠেছে। প্রতিমাসে একটি করে নতুন রেস্তরাঁ খুলছে। প্রতিযোগিতার জন্য সস্তায় খাবার দিতে গিয়ে গুণগত মান কমে যাচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে আমাদের। প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

    ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রের যোগেশ চন্দ্র মণ্ডল বলেন,একটি বিরিয়ানির দোকানে খাবারের উপর পোকা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সেই খাবার ফেলে দেওয়া হয়। কয়েকটি রেস্তরাঁয় ফ্রিজে বাসি খাবার ছিল, সেগুলিও ফেলে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অনিয়ম করেছেন, তাঁদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি, যাঁরা খাদ্য সুরক্ষা আইন মানছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিক প্রশাসন। অনিয়ম করলে সেই ব্যবসায়ীকে সংগঠনে নেওয়া হয় না।

    চাঁচল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে ব্যবসা চালালে তাঁদের সমর্থন করা হবে না।  কেউ অনিয়ম করলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক। 
  • Link to this news (বর্তমান)