• সংযোগ আছে, জল নেই! পুজোর আগেই সমাধান
    বর্তমান | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাটোয়া: পুজোর আগেই জেলায় মিটতে চলেছে পানীয় জলের সমস্যা। বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাইপলাইনের মাধ্যমেই বাড়ি বাড়ি পৌঁছচ্ছে পানীয় জল। পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ১৬০০ গ্রামে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে পানীয় জলের সংযোগ। এরজন্য প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।প্রশাসনের দাবি, লক্ষ্যমাত্রার আগেই ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জেলায় এখনও যেসব গ্রামে সংযোগ পৌঁছয়নি, সেসব এলাকায় নতুন করে পাইপলাইন যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

    পূর্ব বর্ধমান জেলার পিএইচই-র এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার গোপেন পাল বলেন, জেলায় দু’হাজার কোটি টাকা খরচ করে এখনও পর্যন্ত ১৬০০-র কাছাকাছি গ্রামে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার অনেক আগেই কাজ শেষ হচ্ছে।

    রাজ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পে বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছিল। বেশ কয়েকটি ধাপে কাজ হচ্ছিল। এরজন্য বহু গ্রামে পাইপলাইন যাওয়ার জন্য রাস্তাও খোঁড়া হয়েছিল। সে সব রাস্তা সংস্কার করবে পিএইচই। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে ২২০০ গ্রাম রয়েছে। এরমধ্যে এখনও ৬০০টি গ্রামে সংযোগ বাকি রয়েছে। সেগুলির কাজ দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হবে। ২০২৮ সাল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পিএইচই-র দাবি, তার অনেক আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। জেলায় নতুন করে ২৬০টি রির্জাভার তৈরি করা হয়েছে। 

    তবে বহু গ্রামবাসী বলছেন, সংযোগ তো হল, জলটা কবে পাব? দপ্তরের সাফাই, আসলে রিজার্ভার তৈরির কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জল পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। কাটোয়া, কালনা মহকুমা এলাকায় এখনও বেশ কয়েকটি অঞ্চলে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। 

    দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার জানান, আমাদের কোথাও জলস্তর নিয়ে কাজ আটকাচ্ছে। আবার কোথাও গা-জোয়ারি করে একই বাড়িতে দু’টো করে সংযোগ দিতে বাধ্য করছে।জলস্তর সহ অন্যান্য সমস্যার দিকগুলি পরীক্ষা করে আমরা বোরিং করছি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা সেসব বুঝছেন না৷ 

    এভাবে কাজ করলে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে বেশি সময় লেগে যাবে। গ্রীষ্মকাল এসে গিয়েছে। দ্রুত প্রকল্প চালু না করলে পানীয় জল পেতে বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হবে। প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করা নিয়ে রাজ্য থেকে প্রতিনিয়ত আমাদের মনিটরিং করা হচ্ছে। অথচ গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার জন্য কাজের গতি  কমছে।

    কাটোয়া মহকুমা জুড়ে ৭৮টি নতুন জলপ্রকল্প তৈরি করা হয়েছে।  নদী বা রেললাইন আছে, এমন জায়গায় স্ট্যান্ড অ্যালোন পদ্ধতিতে জলের সংযোগ দেওয়া হবে। পিএইচই দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, কাটোয়া মহকুমার বেশ কয়েকটি জায়গায় টেন্ডার ডাকা সত্ত্বেও জমিজটে জল প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)