• মোথাবাড়িতে পুলিসি হেফাজতে মৃত্যু: সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
    বর্তমান | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মালদহের মোথাবাড়িতে পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চরম অত্যাচার করেছে পুলিস। যার জেরে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এমনই অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী। মামলায় উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মঙ্গলবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, এই মামলার তদন্ত করবে সিআইডির হোমিসাইড শাখা। এডিজি সিআইডির তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্ত চলবে। বিচারপতি জানান, যেহেতু পুলিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এডিজি হোমিসাইড শাখার একজন আধিকারিককে তদন্তের দায়িত্বে নিযুক্ত করবেন। ১৫ দিন অন্তর তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট ওই আধিকারিককে দিতে হবে। আবেদনকারীর নিরাপত্তার বিষয়টিও দেখবেন এডিজিকে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।  

    মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, ২০২১ সালে সিভিক ভলান্টিয়াররা মামলাকারীর স্বামীকে বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে যায়। তাঁকে প্রথমে আউট পোস্টে ও পরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আউট পোস্টে বসে থাকার ছবিতে মৃতকে সম্পূর্ণ সুস্থ দেখা গিয়েছে। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর অত্যাচার করা হয়েছে। স্ত্রী থানায় গিয়ে স্বামীকে অসুস্থ অবস্থায় দেখেন। অভিযোগ, পুলিসের কাছে সহায়তা চাইলেও তিনি কোনও সাহায্য পাননি। এরপর স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্যর কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁর স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আবেদনকারী মালদহ মেডিকেল কলেজে পৌঁছে দেখতে পান, তাঁর স্বামী শরীরে আঘাতের চিহ্ন এমনকি তাঁর দেহ, যৌনাঙ্গ দগ্ধ অবস্থায় ছিল। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বিষয়টি রফা করে নিতে বলা হয়। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্যের দাবি ওই ব্যক্তিকে মারধর করতে দেখার পর পুলিস তাঁকে উদ্ধার করে। তাহলে ওই ব্যক্তিকে মারধর করছিল এমন কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি? মেডিকেল রিপোর্টে ক্ষত চিহ্ন স্পষ্ট। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গভীর ক্ষতর উল্লেখ রয়েছে।’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, ‘মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ফারাক রয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা না জেল কর্তৃপক্ষ দায়ী তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তাও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি যেহেতু গুরুত্বপূর্ণ তাই ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হল।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)