• মাছ ধরায় তিনমাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে, নিয়ম মানা নিয়ে জল্পনা
    বর্তমান | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সপ্তাহখানেক পর তিন মাসের জন্য নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ‘ব্যানড পিরিয়ড’ বা নিষেধাজ্ঞার সময় শুরু হবে। কিন্তু প্রতিবারই এক শ্রেণির ট্রলার মালিক সেই নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে সমুদ্রে গিয়ে মাছ ধরেন। এবারও কি সেই একই ঘটনা দেখা যাবে? মৎস্যজীবী মহলে এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করেছে।

    সকলের উপর নজর রাখার মতো কর্মীসংখ্যা নেই মৎস্য বিভাগে। সেই সুযোগে অনেকে লুকিয়ে সমুদ্রে চলে যান মাছ ধরতে। ট্রলার মালিকদের একাংশের বক্তব্য, এমনিতেই প্রতিবার ইলিশের আকাল থাকে। তার উপর যদি আগে থেকে কেউ মাছ ধরতে যান, তাহলে এবারও পর্যাপ্ত পরিমাণ মাছ মিলবে না। তাই এই তিন মাস কেউ যাতে এই নিয়ম লঙ্ঘন না করেন, সেই আবেদন করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে এমন কাজ করতে গিয়ে যাঁরা ধরা পড়ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করেছে প্রশাসন। তবুও এই প্রবণতা বন্ধ করা যায়নি।

    কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, প্রতিবার সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। মৎস্য বিভাগেরও উচিত আরও বেশি করে নজরদারি চালানো। কিন্তু তাদের লোকবল নেই। তাই সেটা সম্ভব হয় না। কিন্তু মৎস্যজীবীদের বৃহত্তর স্বার্থে সবাই যাতে এই তিন মাস সমুদ্রে না যান, সেই আবেদন করা হচ্ছে। এই সময়টা ইলিশের প্রজননের সময়। স্ত্রী মাছ মোহনায় এসে ডিম পাড়ে। কিন্তু সেই সময় যদি ট্রলারগুলি আসা যাওয়া করে, তাহলে তাদের এই প্রক্রিয়া ধাক্কা খায়। ফলে বর্ষার সময় ইলিশের জোগানে টান পড়তে পারে। সেই কারণেই মৎস্যজীবীদের এই সময়টা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবুও সেই কথা মানেন না অনেকেই।
  • Link to this news (বর্তমান)