সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে উত্তপ্ত জঙ্গিপুরে শান্তি ফেরাতে তৎপর প্রশাসন। ইতিমধ্যেই এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সড়কে যান চলাচলও স্বাভাবিক। যদিও জঙ্গিপুরের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকেল থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জঙ্গিপুর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। শুরু হয়ে যায় জনতা-পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ! জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের দুটি গাড়ি। চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়ি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে জঙ্গিপুরের এসপি আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পরই পরিস্থিতি সামাল দেয় তারা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে। যারা গুজব ছড়িয়েছে বা চেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে ওই এলাকায় পাঁচ বা তার অধিক মানুষ একসঙ্গে জমায়েত করতে পারবেন না। কোনও আগ্নেয়াস্ত্র, দাহ্য পদার্থ, পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন জাতীয় পদার্থ বহন করা যাবে না। এমনকী হাতে লাঠি নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরা যাবে না। কোনও প্ররোচনামূলক বক্তব্য পেশ বা গুজব ছড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী ১০ তারিখ পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
এদিকে এসবের মধ্যে আবার বিবৃতি দিয়ে রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর বক্তব্য, “এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানো হিংসা বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটল, তাতেই বোঝা গিয়েছে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম, মানুষও অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা উচিত।” রাজ্যপাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যকে কড়া পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছেন।