• জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, অশান্তি পাকানোয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা পুলিশের
    আজ তক | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয় এলাকা। এই ঘটনায় হিংসা ছড়ানোয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল রাজ্য পুলিশ। এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। অন্য দিকে,  গতকালের ঘটনার পর জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিপুরের ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    ঠিক কী জানিয়েছে পুলিশ?

    এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, 'জঙ্গিপুরে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। বিশৃঙ্খলাকারীদের সারনো হয়েছে। যাঁরা অশান্তি পাকিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। গুজব রটিয়ে যাঁরা বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে। সকলকে শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখার আর্জি জানাচ্ছি।'

    অন্য দিকে, রঘুনাথগঞ্জ ও সুতিতে বিএনএসের ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। মিটিং-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয় জঙ্গিপুর। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ তুলতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা হয় আন্দোলনকারীদের। বাকযুদ্ধ গড়ায় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কিতে। পরিস্থিতি দ্রুত অশান্তিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এরপরেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ।

    রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বলেন, 'সিপিএম-এর জমানাতেও কিন্তু পুলিশ আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করেনি। কিন্তু এখন কেন, কী পরিস্থিতিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হল তা আমার জানা নেই। যাঁরা করছেন, তাঁদের বলব শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে। এটা আরএসএস-এর এজেন্ডা। গ্রামে যাবে কবরস্থান মাপতে, জমি জরিপ করতে। তখনই দেখা যাবে গ্রামের মানুষ জামাই আদর করে না বিক্ষোভ করে। তখনই দেখা যাবে গ্রামের মানুষ এটা কীভাবে গ্রহণ করে।' জঙ্গিপুরের ঘটনায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'সবকিছুর মূলাধার মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। পুলিশের গাড়ি জ্বলছে। প্যারামিলিটারি নামাতে বলুন। ১৪ বছর ধরে রাজ্য়ের একজনই পুলিশ মন্ত্রী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'
     
  • Link to this news (আজ তক)