• বাংলার রাজভবনেও আটকে অন্তত ২৩ বিল! সুপ্রিম রায় হাতিয়ার করে বোসকে চাপ বিমানের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • মাসের পর মাস কেটে গিয়েছে, তারপরও রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়ে যাওয়া একাধিক বিল আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে রাজভবনে। এই অভিযোগে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপাল এবং রাজভবনকে অভিযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। সেই মামলায় এম কে স্ট্যালিনের সরকারের জয় হয়েছে।

    অন্যদিকে, তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছে শীর্ষ আদালত। পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এভাবে রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া কোনও বিল দীর্ঘ সময় ধরে রাজভবনে আটকে রাখা যায় না। সেটা 'অবৈধ' আচরণ। এমনকী, এই মামলার প্রেক্ষিতে তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে সংশ্লিষ্ট সাংবিধানিক বিধিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    এই জয়ে স্বভাবতই খুশি এম কে স্ট্যালিনের সরকার। তাদের বক্তব্য, এমন ঘটনা শুধুমাত্র তামিলনাড়ু নয়, ভারতের নানা রাজ্যেই ইদানীংকালে ঘটছে। এই সুপ্রিম রায়ে সেই সমস্ত রাজ্যের সরকারেরও সুবিধা হবে।

    তামিল সরকারের এই বক্তব্য সামনে আসতে না আসতেই সুপ্রিম নির্দেশকে হাতিয়ার করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের উপর চাপ বাড়ানো শুরু করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যপালকে স্মরণ করিয়ে দিলেন - এ রাজ্যেও অন্তত ২৩টি বিল বিধানসভায় পাস হয়ে যাওয়ার পরও রাজ্যপালের অনুমোদন পাওয়ার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে রাজভবনে পড়ে রয়েছে।

    বিমানের দেওয়া তথ্য অনুসারে - গত প্রায় ৯ বছর সময়সীমার মধ্যে বিভিন্ন বছর রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া অন্তত ২৩টি বিল আটকে রয়েছে রাজভবনে। এই প্রসঙ্গে বিমান বলেন, যদি রাজ্যপালের মনে হয়, ওই বিলগুলিতে কোনও সমস্যা রয়েছে, তাহলে তো তিনি রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নিতে পারেন। রাজ্যপালের এই বিষয়ে আরও একটু নজর দেওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্টের রায় ও পর্যবেক্ষণ সামনে আসার পর দ্রুততার সঙ্গে বিলগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

    বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্পষ্ট বার্তা, সরকারি কাজে যদি রাজ্যপালরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে যেকোনও রাজ্য়ের পক্ষেই তা ইতিবাচক। এতে প্রশাসনিক কাজ করা সহজ ও সুবিধাজনক হয়।

    প্রসঙ্গত, বাংলার যে বিলগুলি এখনও রাজভবনে আটকে রয়েছে, তার মধ্যে গণপিটুনি সংক্রান্ত বিল, হাওড়া পুরনিগম ও বালি পুরসভা একত্রিত করা সংক্রান্ত বিল অন্যতম। এছাড়াও, রাজভবনেই আটকে রয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে সার্চ কমিটি সংক্রান্ত বিল। সেইসঙ্গে - রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা সংক্রান্ত আটটি বিলেও আজ পর্যন্ত রাজ্যপাল স্বাক্ষর করেননি।

    এই বিষয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, প্রয়োজনে নয়া নিয়ম করা হোক। যাতে - কোনও বিল পাস হওয়ার পর তিন থেকে ছয়মাসের মধ্যে রাজ্যপাল যদি তাতে অনুমোদন না দেন, তাহলে সেই বিলই 'আইন' হিসাবে গণ্য করা যায়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)