• ফের চর্চায় যাদবপুরের ইন্দ্রানুজ, এবার টিএমসিপির পতাকায় আগুন দিয়ে বললেন...
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ফের চর্চায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সেখানকার ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। কয়েকদিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ির চাকায় চোখে আঘাত লেগেছিল এই ইন্দ্রানুজের। এই ইন্দ্রানুজের বিরুদ্ধে পালটা হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার সেই ছাত্রকেই দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্রপরিষদের পতাকায় আগুন লাগাতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ইন্দ্রানুজ রায় হলেন আরএসএফের সদস্য। এই নিয়ে টিএমসিপির সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেখানে টিএমসিপি নেতা লেখেন, 'যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্দ্রানুজ ও তাঁর সাথীরা আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকা পুড়িয়েছে। আমাদের নেত্রী বদলায় নয় বদলে বিশ্বাস করেন। আগামীদিনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়তে বদল অবশ্যম্ভাবী।'


    এদিকে দলের সভাপতি বদলার পরিবর্তে বদলের বার্তা দিলেও 'অন্য সুর' যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের সভাপতি কিশলয় রায়ের গলায়। তিনি এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, 'আমাদের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পতাকায় আগুন লাগিয়েছে ইন্দ্রানুজ রায়। প্রকাশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। বারবার এই গুন্ডামি সহ্য করা যায় না। যে শাসনের বা প্রতিবাদের কথা ওরা বলে, সেই একই পথে এবার ব্যবস্থা হতেই পারে।'


    এদিকে টিএমসিপির পতাকায় আগুন দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ইন্দ্রানুজ নিজেই। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, 'টিএমসি শুধু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। সেই কথা মতো যদি ওরা কাজ করত, তাহলে আমরা গণতন্ত্রের ভাষায় কথা বলতাম। কিন্তু তারা মারার চেষ্টা করেও পার পেয়ে যায়। বিরোধী মনোভাবাপন্ন ছাত্রদের প্রতিবাদের মাশুল হিসেবে নোটিশ পাঠানো হয়। তার প্রতিবাদ হিসেবে টিএমসিপির পতাকায় আগুন ধরানো ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় দেখি না। অন্যান্য সংগঠনের কর্মীদের গায়ে জল ঢালছে, হুমকি দিচ্ছে। তাদের লেখালিখি ছিঁড়ে দিচ্ছে। তখন আমরা প্রতীকী হিসেবে তাদের পতাকা পুড়িয়েছি।'

    প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ অভিযোগ ওঠে, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি প্রায় পিষে দিয়েছিল ইন্দ্রানুজকে। একদিকে যেখানে যাদবপুরে ব্রাত্যের 'গাড়িতে ছাত্রের চাপা পড়ার' অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি করছে তৃণমূল। অপরদিকে ইন্দ্রানুজের গাড়ির সামনে পড়ে থাকার দৃশ্য সম্প্রচারিত হয়েছে খবরের চ্যানেলে। সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইন্দ্রানুজের বাঁ চোখে ও মাথায় আঘাত লেগেছিল। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে ইন্দ্রানুজ বলেছিলেন, ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার বার্ষিক সম্মেলনে এলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে পড়ুয়াদের সঙ্গে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করবেন। তখন ব্রাত্য বসুকে সবাই বৈঠকে বসার জন্য ঘিরে ধরে, তখন তৃণমূলের ছাত্র নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ও শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁর গাড়িতে তুলে দেয়। শিক্ষামন্ত্রী গাড়িতে উঠতেই গতি বাড়ায় চালক। আন্দোলনকারীরা অনেকবার তাঁকে থামতে বললেও নাকি গাড়ির গতিবেগ আরও বাড়ানো হয়। সেই সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন বহু পড়ুয়া। ধাক্কাধাক্কিতেই নাকি গাড়ির সামনে পড়ে যান ইন্দ্রানুজ। সেই ঘটনার পর ফের একবার খবরের শিরোনামে ইন্দ্রানুজ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)