• চাকরি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধের নেপথ্যে রাম-বাম চক্রান্ত! আজই পথে নামছে তৃণমূল
    প্রতিদিন | ০৯ এপ্রিল ২০২৫
  • স্টাফ রিপোর্টার: চাকরি বাতিল ও বাংলায় নিয়োগ বন্ধের নেপথ্যে বাম-বিজেপির গভীর চক্রান্ত! প্রতিবাদে আজ, বুধবার পথে নামছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুবরা। মূলত কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা ও হুগলির একাংশের ছাত্র যুবদের এই কর্মসূচিতে আসতে বলা হয়েছে। ঠিক দুপুর ২টায় ঐতিহাসিক কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত শুরু হবে। বিকেল তিনটেয় মিছিল শুরু হয়ে শেষ হবে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল শেষে বাংলার বেকারদের বিরুদ্ধে রাম-বামের এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখবেন ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। আগামী ১১ এপ্রিল, শুক্রবার একই ইস্যুতে রাজ্যের সমস্ত জেলা, পুরসভা, ব্লক, টাউন ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্র-যুবদের রাম-বামের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল করতে নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল।

    রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সির নির্দেশে ছাত্র-যুবদের এই প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে মঙ্গলবার তৃণমূলভবনে প্রস্তুতি বৈঠক করেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ছিলেন তৃণমূল যুব সভানেত্রী সাংসদ সায়নী ঘোষ, ছাত্র সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার দুই যুব তৃণমূল সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু ছাড়াও রাজ্য কমিটির বেশ কয়েকজন নেতাকে। মিছিলের শুরু ও শেষে, দু’টি বড় মঞ্চ যেমন করা হচ্ছে তেমনই কী কী স্লোগান হবে তাও এদিন ঠিক করে দিয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।

    উল্লেখ্য, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরিচ্যুতির নেপথ্যে সুপ্রিম কোর্টে মিথ্যা অভিযোগ হাজির করে রাম-বামের তরফে ভুয়ো সওয়ালের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “ত্রিপুরায় ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যে সিপিএম যোগ্যদের পক্ষে সওয়াল করেছিল তারাই বাংলার ২৬ হাজারের শুনানিতে গোটা প্যানেল বাতিলের দাবি করেছে। এটা বামেদের চিরকালীন দ্বিচারিতাকে আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে।” ছাত্র-যুবর মিছিলে ত্রিপুরার ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকরি হারানো এবং বাম-বিজেপির দ্বিচারিতার বিষয়টিকেও ইস্যু করা হবে বলে তৃণমূল ঘোষণা করেছে। ত্রিপুরার এই চাকরিহারাদের নিয়ে বামেদের পাশাপাশি বিজেপিও যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছিল তা ফের উল্লেখ করেছেন কুণাল। বলেন, “ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই মামলায় তখন মানিক সরকারের ত্রিপুরা গভর্নমেন্ট যেমন দ্বিচারিতা করেছিল তেমনই বিজেপি তখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে চাকরির ব্যবস্থা করব। কিন্তু দু’দফায় ত্রিপুরায় বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতায় এলেও ওই ১০,৩২৩ জনের কথা ভাবেনি।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)